Dengue Symptom: গোটা দেশেই বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া দেশ বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। ডেঙ্গিতে মৃত্যুও ঘটছে। ডেঙ্গি একবার চরম আকার নিলে বিপদ। আমাদের সমস্যা হল প্রথমে বুঝতে দেরি হয়। তাই চিকিৎসা শুরু করতেও দেরি হয়ে যায়। তাই প্রথমেই এই জ্বর চিহ্নিত করা জরুরি।প্রতি বছর এই মরসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে। ডেঙ্গু জ্বরে প্লেটলেট দ্রুত কমতে শুরু করে। প্লেটলেট বাড়ানোর জন্য খাদ্য ও পানীয়ের প্রতি বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন। ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ তিন থেকে ১৪ দিনের মধ্যে দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে আপনার জানা জরুরি যে শরীরে প্লেটলেটের মাত্রা কমে গেলে কী কী লক্ষণ দেখা যায়।
ডেঙ্গির লক্ষণ
চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু জ্বর আসার পর তিন-চার দিনের মধ্যে জ্বর কমতে শুরু করে। এ সময় শরীরে ব্যথার অভিযোগ থাকে। এর থেকে বেশি উপসর্গ নেই, তবে ডেঙ্গুর কারণে হেমোরেজিক ফিভার হলে শরীরে প্লেটলেটের মাত্রা কমে যেতে পারে। এতে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, মৃত্যুর ঝুঁকিও রয়েছে। ডেঙ্গুর কারণে যদি কারো শরীরে প্লেটলেট কমতে শুরু করে, তাহলে এই ৬ ধরনের উপসর্গ দেখা দরকার।
ডেঙ্গির ৬ বড় লক্ষণ
১. প্লেটলেট কমে যাওয়া (Platelet Decrease) ২. দুর্বলতা এবং ক্লান্তি (Weakness And Tiredness) ৩. শরীরের ফুসকুড়ি (Rash) ৪. বমি এবং ডায়রিয়া (Vomiting and Diarrhea) ৫. মাথা ঘোরা (Dizziness) ৬. পেশিতে ব্যথা (Muscle Pain)।কখনও কখনও মাড়ি এবং নাক থেকে রক্তপাত (Bleeding from Gum and Nose)
তাছাড়া প্লেটলেটের মাত্রা কেমন হওয়া উচিত?
বিশেষজ্ঞদের মতে একজন সাধারণ মানুষের শরীরে প্লেটলেটের মাত্রা প্রতি মাইক্রোলিটারে ১.৫ লাখ থেকে ৪.৫০ লাখ পর্যন্ত থাকে। ডেঙ্গির কিছু ক্ষেত্রে এই মাত্রা কমতে থাকে। যদি এটি ১ লাখের কম হয় তবে এটি কম প্লেটলেট গণনা হিসাবে বিবেচিত হয়, তবে এতে আতঙ্কিত হওয়া উচিত নয়। প্লেটলেটের মাত্রা ২০ হাজারের বেশি হলে কোনো বিপদ নেই। কিন্তু তা কম হলে এই পরিস্থিতি বিপজ্জনক হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে রোগীকে প্লেটলেট দিতে হবে।