Turmeric Water Benefits: প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরের যত্ন নেওয়াই শ্রেয়। আর এই বিষয়ে হলুদের গুরুত্ব নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বত্র এই আয়ুর্বেদিক উপাদানের কদর। যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে বিভিন্ন দেশে হলুদ ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হলুদ জল খেলে তার দারুণ উপকার পাবেন। আসুন সেই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক...
১. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: হলুদে থাকা কারকুমিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। এটি শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন সকালে হলুদ জল খেলে আপনার শরীর সংক্রমণের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
২. হজমশক্তি উন্নত করে: হলুদ জল পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। এটি পাচক রসের ক্ষরণ বাড়ায়। ফলে খাবার সহজে হজম হয়। গ্যাস, বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়।
৩. ওজন কমাতে সাহায্য করে: সকালে খালি পেটে হলুদ জল খেলে মেটাবলিজম বাড়ে। এর ফলে দ্রুত ক্যালোরি বার্ন হয়। এটি শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে।
৪. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে: হলুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের গভীর পরিচর্যা করে। প্রতিদিন খালি পেটে হলুদ জল খেলে ত্বকের দাগ-ছোপ কমে। ত্বক আরও উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে।
৫. যেকোনও ধরনের ব্যথা (প্রদাহ) কমায়: শরীরের কোনো অংশে ব্যথা বা ফোলা ভাব থাকলে হলুদ জল খান। বিশেষ করে আর্থ্রাইটিস ও জয়েন্ট পেইন কমাতে এটি দারুণ কার্যকর। তবে একদিনেই ফল আশা করবেন না। অন্তত ২-৩ মাস নিয়মিত পান করতে হবে।
৬. লিভার ডিটক্সিফিকেশন: হলুদ জল লিভার পরিষ্কার রাখে এবং টক্সিন বের করে দেয়। ফলে লিভারের কর্মক্ষমতা আরও বাড়ে ও শরীর সতেজ থাকে।
৭. হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে: হলুদে থাকা কারকুমিন ব্লাড প্রেশার ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে ও হার্ট সুস্থ থাকে।
৮. মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে: হলুদ জল ব্রেন ফাংশন বাড়ায় এবং স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি কমাতে সাহায্য করে। এটি মুড ভালো রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও কার্যকর।
তাই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম জলে আধ চামচ হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। কয়েক মাস খেলেই উপকার টের পাবেন।