Seeds For Health: কাটবে দুর্বলতা, চাঙ্গা হবে যৌবন, এই ৫ বীজ সবার খাওয়া উচিত

বীজকে সাধারণ ভাষায় গাছের ভ্রূণ বলা যেতে পারে। আর সেই কারণেই এগুলি পুষ্টির ভাণ্ডার। নির্দিষ্ট পরিমাণে কিছু বীজ খেলে তা দুর্দান্ত উপকারিতা প্রদান করে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিছু বীজ অন্তর্ভুক্ত করা আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।

Advertisement
কাটবে দুর্বলতা, চাঙ্গা হবে যৌবন, এই ৫ বীজ সবার খাওয়া উচিতএই ৫ বীজ নিয়মিত খেলেই পাবেন সুফল
হাইলাইটস
  • বীজকে সাধারণ ভাষায় গাছের ভ্রূণ বলা যেতে পারে। আর সেই কারণেই এগুলি পুষ্টির ভাণ্ডার।
  • নির্দিষ্ট পরিমাণে কিছু বীজ খেলে তা দুর্দান্ত উপকারিতা প্রদান করে।
  • প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিছু বীজ অন্তর্ভুক্ত করা আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।

বীজকে সাধারণ ভাষায় গাছের ভ্রূণ বলা যেতে পারে। আর সেই কারণেই এগুলি পুষ্টির ভাণ্ডার। নির্দিষ্ট পরিমাণে কিছু বীজ খেলে তা দুর্দান্ত উপকারিতা প্রদান করে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিছু বীজ অন্তর্ভুক্ত করা আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।

এই প্রতিবেদনে, আমরা নিয়মিত খাওয়া উচিত এমন ৫টি বীজের উপর আলোকপাত করব:

১. তিসি বীজ:
এর ইংরাজি নাম ফ্ল্যাক্স সিড। যে কোনও মল, শপিং সেন্টারে পাবেন। তিসি বীজ ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি দুর্দান্ত উৎস। এটি হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও, এতে ফাইবার, প্রোটিন এবং লিগন্যান থাকে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। তিসি বীজ ভেজে, স্মুদিতে মিশিয়ে অথবা স্যালাডে খাওয়া যেতে পারে।

২. চিয়া বীজ:
চিয়া সিডসে ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটি হজম উন্নত করতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। চিয়া বীজের পুডিং, স্মুদি, দই অথবা স্যালাডে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

৩. সূর্যমুখী বীজ:
সূর্যমুখী বীজ ভিটামিন E, ভিটামিন B6, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম থাকে। এটি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সূর্যমুখী বীজ ভেজে, স্যালাডে ছিটিয়ে অথবা স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।

৪. কুমড়ার বীজ:
কুমড়ার বীজ জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রোটিনের ভাল উৎস। এটি প্রোস্টেটের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। কুমড়ার বীজ ভেজে, স্যালাডে ছিটিয়ে অথবা স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। ফলে এর পরের বার বাজার থেকে কুমড়ো আনলে বীজটা ফেলবেন না।

৫. তিলের বীজ:
তিলের বীজ ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়ামের একটি ভাল উৎস। এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং রক্তাল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। তিলের বীজ ভেজে, তিলের নাড়ু তৈরি করে অথবা স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।

বীজ কীভাবে খাবেন:

  • বীজ সারারাত ভিজিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এতে বীজের পুষ্টি উপাদান আরও সহজে হজম হয়।
  • বীজ স্মুদি, দই অথবা স্যালাডে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
  • বিভিন্ন বীজ, বাদামকে চকোলেট ও গুড় দিয়ে পাক দিয়ে নাড়ু বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
  • স্ন্যাকস হিসাবে অন্য কিছুর তুলনায় বীজ খাওয়া যেতে পারে।

বীজের প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকলেও কিছু সাবধানতা মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ:

  • পরিমাণ: বীজ অত্যাধিক মাত্রায় খেলে পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অন্যান্য হজমের সমস্যা হতে পারে।
  • পিষে খাওয়া: কিছু বীজ, যেমন তিসি বীজ, গোটা অবস্থায় খেলে ঠিক মতো হজম নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে, বীজ ভাল করে পিষে খাওয়া উচিত।
  • অ্যালার্জি: কারও নির্দিষ্ট কোনও বীজের প্রতি অ্যালার্জি থাকতে পারে। ফলে প্রথমবার কোনও বীজ খেলে সামান্য খাবেন। খাওয়ার পর কোনও সমস্যা, যেমন ফুসকুড়ি, বমি বমি ভাব বা শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন, তাহলে আর খাবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement