scorecardresearch
 

Gastric Headache: গ্যাসের কারণে মাথাব্যথা? এই ঘরোয়া উপায়ে স্বস্তি মিলবে

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও অ্যাসিডিটির কারণেও অনেককে মাথাব্যথার সমস্যায় পড়তে হয়। গ্যাসের কারণে সৃষ্ট মাথাব্যথা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। কারণ একই সঙ্গে মাথাব্যথা ও গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে হয়।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি

প্রায়ই মাথা ব্যথার সমস্যায় ভোগেন? জানেন, এই মাথা ব্যাথার নানা কারণে হতে পারে। মাথাব্যথার অনেক কারণের মধ্যে গ্যাসও একটি। পেটে গ্যাস তৈরির কারণেও মাথাব্যথার সমস্যা দেখা দেয়। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও অ্যাসিডিটির কারণেও অনেককে মাথাব্যথার সমস্যায় পড়তে হয়। গ্যাসের কারণে সৃষ্ট মাথাব্যথা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। কারণ একই সঙ্গে মাথাব্যথা ও গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে হয়। যদি সময় মতো গ্যাস এবং মাথাব্যথার চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে। 

কীভাবে গ্যাস, মাথাব্যথার কারণ?

মুম্বইয়ের ওকহার্ট হাসপাতালের আইসিইউ ডিরেক্টর ডঃ বিপিন জিভকাতে বলেন যে, বদহজম বা অ্যাসিডিটি এবং গ্যাসের মতো অন্যান্য সাধারণ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার কারণে গ্যাস্ট্রিক মাথামব্যথা হয়। তিনি বলেন, "আমাদের পাকস্থলী ও মস্তিষ্কের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেমের সমস্যার কারণে অনেকেই মাথা ব্যথায় ভোগেন। এর কারণ হল প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাবার আপনার শরীরে পৌঁছায় না, যার কারণে আপনার মাথা ব্যথা শুরু হয়।"

মাথাব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়

লেবু জল- লেবু মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি দুর্দান্ত উপায়। কারণ এতে প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। একটি লেবুর রস হালকা গরম জলে মিশিয়ে পান করুন। এটি গ্যাসের কারণে হওয়া মাথাব্যথা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

বাটারমিল্ক- পেটে গ্যাস তৈরির কারণে যদি আপনার মাথাব্যথা হয়, তাহলে দিনে দু'বার বাটারমিল্ক খেলে অনেকটাই আরাম পাওয়া যায়।

হাইড্রেটেড থাকুন- মাথাব্যথার সবচেয়ে বড় কারণ হল পর্যাপ্ত জল না খাওয়া। শরীরে জলের অভাবে মাথাব্যথা শুরু হয়। সেক্ষেত্রে মাথাব্যথা এড়াতে চাইলে, প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ গ্লাস জল পান করুন।

তুলসী পাতা চিবিয়ে খান- প্রতিদিন ৭-৮টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে মাথা ব্যথা কমে যায় এবং পেশীতে আরাম পাওয়া যায়। তুলসী পাতার বেদনানাশক গুণ রয়েছে যা,  জন্য খুবই উপকারী।

Advertisement


গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া উপায়

এই পানীয়গুলি খান- গ্যাস, অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, কিছু পানীয় আপনাকে সাহায্য করতে পারে। যেমন- শসার রস, লেবুর জল, আদার জল, নারকেলের জল, জোয়ানে জল এবং মৌরি জল। এই পানীয় পাকস্থলীর কোষ নিরাময়ে সাহায্য করে।

রসুনের দুধ - রসুনের দুধে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি গ্যাস, পেট ব্যাথা, ফোলাভাব এবং বদহজম কমাতে সাহায্য করে। এমনকী আপনি যদি হৃদরোগ বা আর্থ্রাইটিসে ভোগেন, তাহলেও রসুনের দুধ খেতে পারেন।

পুদিনা- পুদিনা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণে ভরপুর। এটি আপনার পেট এবং গলার জ্বালাপোড়াকে প্রশমিত করে এবং সেই মুহূর্তে ত্রাণ প্রদান করে।

ডায়েট- আপনার নিয়মিত ডায়েটে সাদা চাল, ব্রাউন রাইস, পোহা, ইডলি দোসার মতো জিনিসগুলি অন্তর্ভুক্ত করুন। এছাড়াও আপনার ডায়েটে মুগ, অড়হর ডাল অন্তর্ভুক্ত করুন। এই সমস্ত জিনিস পেটের জন্য খুব উপকারী বলে মনে করা হয়।

 

Advertisement