Homeopathy Medicine Rules: পশ্চিমবঙ্গের অনেক মানুষ হোমিওপ্যাথিতে ভরসা রাখেন। তাই পাড়ায় পাড়ায় আজও রয়েছে হোমিও চেম্বার। কম পয়সায় রোগ সারাতে গরীব মানুষের ভরসার জায়গা। তবে হোমিওপ্যাথি নিয়ে সাধরণ মানুষের মনে অনেক রকম ধারণা রয়েছে, যেগুলির কোনটা সত্যি-মিথ্যে, তা আজ জেনে নেওয়া যাক...
একটা সময় সারা পৃথিবীর পাশাপাশি ভারতেও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার প্রসার বেড়েছে। ১৮৩৯ সালে ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের দ্বিতীয় ভারত সফরের পর এ দেশে এই চিকিৎসা পদ্ধতির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। বহু চিকিৎসকই এখন এই চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে নিয়মিত চর্চা করেন। অসংখ্য মানুষ হোমিওপ্যাথি ওষুধে সুস্থও হচ্ছেন। হোমিওপ্যাথি ওষুধ অ্যালপ্যাথি বা আয়ুর্বেদিক ওষুধের তুলনায় বেশ কিছুটা সস্তা। তাই দরিদ্র সাধারণ মানুষের মধ্যে হোমিওপ্যাথিতে ভরসা বেশি।
হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেলে কি টক খাওয়া চলে?
কলকাতার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হোমিওপ্যাথির প্রাক্তন অধিকর্তা ডাঃ গৌতম আশ জানান, লেবু বা কোনও রকম টক খাওয়ার সঙ্গে হোমিওপ্যাথি ওষুধের কোনও সম্পর্কই নেই। হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার পরও ওই দিন টক খেলে কোনও সমস্যাই হবে না। কারণ, টক খাওয়ার সঙ্গে হোমিওপ্যাথি ওষুধের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার কোনও সম্পর্কই নেই।
হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার নিয়ম কী?
হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে টক খাওয়া যায় না, এটা ভ্রান্ত ধারণা হলেও কোনও কোনও ওষুধের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানতেই হয়। সাধারণত, হোমিওপ্যাথি ওষুধ খালি পেটে খাওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু সকালবেলা ছাড়া পেট সারাদিনে সে ভাবে খালি থাকে না। তাই ওষুধ খাওয়ার অন্তত ২০ মিনিট আগে ও পরে কিছু না খাওয়ার পরামর্শ দেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা। এই নিয়ম মোটামুটি প্রায় সব হোমিওপ্যাথি ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।