Mini Stroke: আতঙ্কের মিনি স্ট্রোক, কী করে বুঝবেন? চিনুন ৭ লক্ষণে

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, স্ট্রোক হলেও তা ঠিক বোঝা যায় না। এমনকী, সিটি স্ক্যান বা এমআরআইয়ের মতো ডাক্তারি পরীক্ষাতেও তা ধরে পড়ে না। আর এতেই বিপদ। ডাক্তারি পরিভাষায় এই ধরনের স্ট্রোককে বলে ট্রানসিয়েন্ট ইসকেমিক অ্যাটাক বা টিআইএ। আর এটিই চলতি কথায় মিনি স্ট্রোক নামে পরিচিত। 

Advertisement
আতঙ্কের মিনি স্ট্রোক, কী করে বুঝবেন? চিনুন ৭ লক্ষণেমিনি স্ট্রোক হলে বুঝবেন কী ভাবে, জানুন।
হাইলাইটস
  • হঠাৎ করেই আসে স্ট্রোক।
  • বিশ্বে মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ হল মস্তিষ্কের এই রোগ।
  • স্ট্রোক হলে একেবারেই অবহেলা করবেন না।

শরীর সুস্থ রাখা একটা চ্যালেঞ্জের মতোই। শরীর ঠিক থাকলে, কোনও ঝক্কিই পোহাতে হয় না। তবে জীবনে চলার পথে নানা রোগ হঠাৎ করেই ঘিরে ধরে। যেমন, হঠাৎ করেই আসে স্ট্রোক। যা এই মুহূর্তে এক আতঙ্কই বলা চলে। বিশ্বে মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ হল মস্তিষ্কের এই রোগ। স্ট্রোকের কারণে পক্ষাঘাত হওয়ার আশঙ্কা তাকে। তাই স্ট্রোক হলে একেবারেই অবহেলা করবেন না। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

মিনি স্ট্রোক কী?

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, স্ট্রোক হলেও তা ঠিক বোঝা যায় না। এমনকী, সিটি স্ক্যান বা এমআরআইয়ের মতো ডাক্তারি পরীক্ষাতেও তা ধরে পড়ে না। আর এতেই বিপদ। ডাক্তারি পরিভাষায় এই ধরনের স্ট্রোককে বলে ট্রানসিয়েন্ট ইসকেমিক অ্যাটাক বা টিআইএ। আর এটিই চলতি কথায় মিনি স্ট্রোক নামে পরিচিত। 

চিকিৎসকদের মতে, মস্তিষ্কে কোনও কারণে রক্তপ্রবাহ বিঘ্নিত হলে মিনি স্ট্রোক হতে পারে। তবে আপনা থেকেই ঠিক হয়ে যায়। তাই সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যায় না, যে মিনি স্ট্রোক হয়েছে। সাধারণত স্ট্রোকের প্রভাব থাকে দীর্ঘস্থায়ী। তবে মিনি স্ট্রোক অল্পসময়ের জন্য হয়। 

মিনি স্ট্রোকের লক্ষণ

কী ভাবে বুঝবেন যে, মিনি স্ট্রোক হয়েছে? জেনে নিন...

* হঠাৎ তীব্র মাথা যন্ত্রণা। 

* হঠাৎ হাঁটতে অসুবিধা হলে। 

* আচমকা যদি চোখে দেখতে অসুবিধা হয়। 

* কথা বলার সময় অসুবিধা হলে।

 * কথা জড়িয়ে গেলে। 

 * হাত-পা অবশ হয়ে গেলে। 

 * চোখে একই জিনিস দু'বার দেখতে পেলে। 


কাদের ঝুঁকি বেশি?

চিকিৎসকদের মতে, যাঁদের হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে মিনি স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকে। এছাড়া, রক্তনালী সঙ্কীর্ণ হলে, ঘন ঘন ধূমপানের অভ্যাস থাকলে, উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা থাকলে, শরীরের ওজন বেশি হলে, ডায়াবিটিস আক্রান্ত হলে ঝুঁকি থাকে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনওরকম লক্ষণ টের পেলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। পাশাপাশি, ভাল খাদ্যাভাস, জীবনধারা ঠিক রাখলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে। 
 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement