আমকে 'ফলের রাজা' বলা হয় এর অসাধারণ স্বাদ, পুষ্টি এবং আরও বিভিন্ন কারণে। এই ফল এতটাই সুস্বাদু যে অনেকেই অনেক সময় একসঙ্গে অনেক আম খায়। আমে ভিটামিন এ, সি, ফোলেট, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়ামের মতো অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা একসঙ্গে শরীরকে অনেক উপকার দেয়। তবে, আপনি যদি সঠিক উপায়ে আম খান, তবে এটি আপনার হজমশক্তিও শক্তিশালী করতে পারে।
অতিরিক্ত আম এবং ভুল ভাবে খাওয়ার ফলে পেট খারাপ, আমাশয়ের সমস্যা হতে পারে। তাই আপনি যদি চান যে আম খাওয়ার ফলে পেট খারাপ না হয় এবং আপনার হজমশক্তিও ভাল হয়, তাহলে কিছু বিষয় মনে রাখবেন।
* সবসময় জলে আম ভিজিয়ে রাখুন। ২০-৩০ মিনিট জলে আম ভিজিয়ে রাখলে আমের গরম প্রকৃতি ঠান্ডা হয়, যা হজম করা সহজ করে তোলে। বিশেষ করে সংবেদনশীল পেটের লোকেদের জন্য, ভিজিয়ে রাখা আম খাওয়া ভাল। এটি ফলের উপর থেকে কীটনাশকও দূর করে। ভিজিয়ে রাখলে ফল একটু নরম এবং আরও সতেজ হয়।
* পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা ও সঠিক সময় আম খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। রাতে ঘুমানোর আগে আম খাবেন না। খালি পেটে বা পেট ভরা অবস্থায় আম খাওয়া এড়িয়ে চলুন। খালি পেটে আম খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। ভারী খাবারের পরেই এটি খেলে পেট ফুলে যেতে পারে।
* সাধারণত দিনে ১-২টি আম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এতে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। দিনের বেলায় আম খাওয়া ভাল। রাতে আম খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।
* দই বা পুদিনার মতো ঠান্ডা উপাদানের সঙ্গে আম মিশিয়ে খেলে ভাল উপকার পাওয়া যায়। এটি ফলের প্রাকৃতিক তাপের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।
-আমে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া আম খাওয়া উচিত নয়। অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।