মাইগ্রেনে মাথার একপাশে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। যা সহ্য করা খুবই কঠিন। মাইগ্রেন শুধু মাথা ব্যথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শরীরের অন্যান্য অংশেও এই ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এই কারণে, অনেকের বমি শুরু হয় বা গা বমি লাগে। অনেকের মাইগ্রেনের ব্যথা হলে শব্দ এবং উজ্জ্বল আলোর সমস্যা হয়।
পুরুষদের তুলনায় মহিলারা মাইগ্রেনে বেশি ভোগেন। একটি আমেরিকান জার্নাল অনুসারে, মাইগ্রেনে আক্রান্ত ৬৯ শতাংশ মানুষ মাথার পাশাপাশি ঘাড়ে তীব্র ব্যথায় ভোগেন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ঘাড় ব্যথা মাইগ্রেনের একটি উপসর্গ হতে পারে।
মাইগ্রেনের কারণে ঘাড় ব্যথার অনেক কারণ রয়েছে। এই কারণগুলির মধ্যে একটি হল, মাইগ্রেন ট্রাইজেমিনোসারভিকাল কমপ্লেক্সকে প্রভাবিত করে। এটি মস্তিষ্কের সেই অংশ যেখানে স্নায়ু মুখ এবং ঘাড়ের উপরের অংশের সঙ্গে সংযুক্ত। অন্য কিছু গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে, পেশীবহুল সমস্যা যেমন দুর্বল বসার ভঙ্গি বা জয়েন্টের রোগও ঘাড়ের উপরের স্নায়ুর উপর চাপ সৃষ্টি করে, যা মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ায়।
মাইগ্রেনের রোগীদের এমন খাবার এড়ানো উচিত যা, ব্যথা বাড়ায় যেমন সাইট্রাস ফল, অ্যালকোহল, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং নাইট্রেটযুক্ত আইটেম। আপনার ডায়েটে যতটা সম্ভব ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। তীব্র সুগন্ধি বা আলোর কারণেও মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়তে পারে। মাইগ্রেন এবং ঘাড় ব্যথার মধ্যে সম্পর্কের বিষয় সঠিক কোনও তথ্য নেই। তবে ঘাড়ের ব্যথার চিকিৎসা করেও মাইগ্রেন নিরাময় করা যায়।
ওষুধ
মাইগ্রেনের ব্যথা কখনই বাড়তে দেওয়া উচিত নয়। আপনি যদি মাইগ্রেনে ভুগে থাকেন, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ওষুধ আপনার সঙ্গে রাখুন। ব্যথা অনুভব হলেই, সঙ্গে সঙ্গে এটি গ্রহণ করুন।
ঘরোয়া প্রতিকার
অনেক ঘরোয়া প্রতিকারও মাইগ্রেন এবং ঘাড়ের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি ব্যথা অনুভব করেন, আপনার মন্দিরে ল্যাভেন্ডার তেল লাগান। ১৫ মিনিট ল্যাভেন্ডার তেলের গন্ধে আপনি আরাম পাবেন। আকুপ্রেসার, আকুপাংচার, শুকনো আদা চা, ম্যাসাজ, যোগব্যায়াম এবং স্ট্রেচিংও মাইগ্রেন এবং ঘাড়ের ব্যথা কমিয়ে দেবে।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
আপনার যদি প্রায়শই মাথা ব্যথা হয়, তবে তা উপেক্ষা করবেন না। মাথায় আঘাত, কথা বলতে অসুবিধা, ঝাপসা দৃষ্টি এবং ঘাড় শক্ত হলে অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।