সিদ্ধ, ভাজা, পোচ, হাফ বয়েল কিংবা রকমারি পদ, ডিম অনেকেরই প্রিয় খাবারের তালিকায় একেবারে উপরের দিকে থাকে। বলা যায়, ডিম পছন্দ করেন না এরকম মানুষ খুব কমই আছে। এটি রান্না করা যেমন সহজ, তেমন পুষ্টিগুণে ভরপুর। ডিম শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এমনকী চুল থেকে ত্বকের চর্চাতেও ডিমের ভূমিকা অনবদ্য।
অনেকেই ব্রেকফাস্টে ডিম খেতে পছন্দ করেন। ডিম প্রোটিনের ভাল উৎস। ভারতে ডিম নানাভাবে খাওয়া হয়। তবে অনেকে কাঁচা ডিম খেতে পছন্দ করেন। যারা স্বাস্থ্য সচেতন বা জিমে যান তারা শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে কাঁচা ডিম খান। কিন্তু কাঁচা ডিম কি স্বাস্থ্যের জন্য সত্যিই ভাল?
কেন ডিম খাওয়া উচিত?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিমে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৯, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং সেলেনিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এছাড়াও, এতে ওমেগা -৩, ফ্যাটি অ্যাসিড, ডিএইচএ এবং ইপিএর মতো স্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে। এই কারণেই অনেকেই প্রোটিনের জন্য ডিমের কুসুম না খেয়ে সেদ্ধ করা অংশ খান।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের শরীরের বিভিন্ন কাজের জন্য চর্বি প্রয়োজন। ডিমে পাওয়া অসম্পৃক্ত চর্বি আমাদের হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল বলে মনে করা হয়। ডিম খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভাল কোলেস্টেরল বাড়ায়। তবে কাঁচা ডিম খাওয়ার ব্যাপারে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত। কাঁচা ডিম অনেক ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
কেন কাঁচা ডিম খাওয়া উচিত নয়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা একটা ভুল ধারণা যে কাঁচা ডিম স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগের কারণে কাঁচা ডিম খাওয়া এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়। যদিও অনেকে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই খালি পেটে কাঁচা ডিম খান। যা পেটে ব্যথা, গ্যাস, খিঁচুনি, ডায়েরিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, ফোলাভাব ইত্যাদি হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও, কাঁচা ডিমের তীব্র গন্ধ থাকে। যার কারণে গা বমি লাগতে পারে। সিদ্ধ ডিমের তুলনায় কাঁচা ডিম হজম করা কঠিন এবং এটি ফুলে যাওয়া এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ১টি করে কাঁচা ডিম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর অনেক চাপ পড়ে। কারণ এতে সালমোনেলার মতো ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করতে হয়। যাদের অ্যালার্জি আছে, তাদের ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
এজন্যে, কাঁচা ডিম খাওয়ার আগে অবশ্যই একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।