রাতের ভাল ঘুম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম আমাদের শরীরকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। বাড়িতে এবং কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু তাই নয়, পর্যাপ্ত ঘুম পরের দিনের জন্য মনোযোগী এবং উদ্যমী রাখে।
তবে পর্যাপ্ত এবং গভীর ঘুম না হলে, অনেক রকম মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। যেমন ছোট ছোট বিষয়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলা এবং আরও খিটখিটে হয়ে যাওয়া। আপনি মেজাজের বিরাট পরিবর্তন দেখতে পারেন। শুধু তাই নয়, ঘুমের অভাব আপনার সম্পর্ককেও প্রভাবিত করতে পারে, তাই ঘুম এবং সম্পর্কের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য তৈরি করার কথা ভাবা উচিত।
সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ঘুম শরীরের জন্য খাবার এবং জলের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের সময় আমাদের শরীর নিজেকে সুস্থ করে তোলে। একজন ব্যক্তির কতটা ঘুম প্রয়োজন তা নির্ভর করে সেই ব্যক্তির বয়স এবং স্বাস্থ্যের উপর। কিন্তু মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের মতে, যে কোনও প্রাপ্ত বয়স্কের রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
বিরক্তিভাব- মেজাজের পরিবর্তন
ঘুমের অভাব বিরক্তি এবং মেজাজের পরিবর্তনের দিকে পরিচালিত করতে পারে। ফলে ছোট ছোট বিষয় নিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে তর্কের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। যখন একটা সম্পর্কে থাকা দুটো মানুষই ক্লান্ত থাকে, তখন ধৈর্য এবং সহনশীলতার মাত্রা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হ্রাস পায়, যার ফলে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়, যা সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
মানসিক বন্ধন হ্রাস
ঘুমের অভাব মানসিক বন্ধনকে প্রভাবিত করে, যার ফলে কোনও জুটির একে অপরের সঙ্গে মানসিকভাবে সংযুক্ত থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। ঘুমের অভাব আপনার সম্পর্কের বোঝাপড়ার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সংযোগের অভাব
ঘুমের অভাব শক্তির মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে এবং এটি আপনার মধ্যে শারীরিক সংযোগকে প্রভাবিত করে। যখন একজন বা উভয় সঙ্গী খুব ক্লান্ত থাকে, তখন তাদের শারীরিকভাবে সংযোগ স্থাপনের সম্ভাবনা কম থাকে যা সম্পর্কের সামগ্রিক বন্ধনকে প্রভাবিত করে।