গরমের তীব্র দাবদাহে নাজেহাল সকলে। তাপমাত্রার পারদ আরও বেড়েই চলেছে। আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে তাপপ্রবাহের সতর্কতা করা হয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। যার কারণে মানুষ জলশূন্যতার সমস্যায় পড়ে। এই ঋতুতে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর জল বেরিয়ে যায় এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরমে নিজেকে হাইড্রেটেড রাখা জরুরি।
গরমে গ্যাস, ডিহাইড্রেশন, বদহজম, বুকজ্বালা এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দেখা যায়। সেই জন্যে এই ঋতুতে শরীর ঠাণ্ডা রাখা জরুরি। তরমুজ, শসা, নারকেল বা ডাবের জলের মতো জল সমৃদ্ধ ফল এবং দইয়ের মতো খাবার খেতে পারেন। এই জিনিসগুলিতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে, যা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, হালকা এবং সুষম খাবার, যেমন স্যালাড, শাকসবজি এবং কিছু ভেষজ খাওয়াও আপনাকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করতে পারে। জেনে নিন প্রবল গরমে কী খেলে শরীর ভাল থাকবে।
ডাবের জল
গ্রীষ্মে ডাবের জল শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইট থাকে। গ্রীষ্মকালে ঘামের আকারে তরল ক্ষয় থেকে শরীরকে রক্ষা করে এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
পুদিনা
গ্রীষ্মকালে পুদিনা আপনার জন্য আশীর্বাদ হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। সতেজ বোধ করতে কার্যকর। হজমশক্তি উন্নত করতেও পুদিনা খুব কার্যকর।
ধনে
ধনে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ, যা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এমন পরিস্থিতিতে, শরীর ঠান্ডা করার জন্য ধনেপাতার চাটনি খেতে পারেন।
দই
দইতে প্রোবায়োটিক থাকে যা ভাল ব্যাকটেরিয়া এবং পাচনতন্ত্রের জন্য উপকারী। এটি শরীরের তাপ কমাতে, প্রদাহ কমাতে এবং পেটের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এটি স্ন্যাকস এবং সালাদে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
শসা
শসা প্রায় ৯৫ শতাংশ জলে সমৃদ্ধ। এটি শরীরকে হাইড্রেট করে এবং পেট ফাঁপা এবং গ্যাসের সমস্যা দূর করে। গ্রীষ্মকালে এটি সালাদ বা স্মুদি আকারে খাওয়া যেতে পারে।