বর্তমান সময়ে স্থূলতা খুব বড় সমস্যা। খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার কারণে স্থূলতা দ্রুত বাড়ছে। পেটের মেদ এবং বাড়তি ওজন কমাতে খাবারে ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই জরুরি। খারাপ জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষ স্থূলতার সমস্যায় পড়ছেন। এই স্থূলতা আরও অনেক রোগ ডেকে আনে। একারণে ডায়াবেটিস ও উচ্চ কোলেস্টেরলের রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। স্থূলতা থেকে মুক্তি পেতে অনেকে নানা কৌশল অবলম্বন করে। এর মধ্যে কিছু কৌশল তাদের স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে।
আপনিও যদি এই সমস্যায় ভোগেন এবং ওজন কমানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন, তাহলে আর চিন্তা দরকার নেই। কর্মব্যস্ত জীবনে রোজ জিম, যোগ ব্যায়াম, জুম্বা ইত্যাদি না করতে পারলেও, কিছু আয়ুর্বেদিক খাবার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করেই বাড়তি ওজন কমানো সম্ভব।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মধু পেট হালকা রাখতে এবং খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এটি মেটাবলিজমকে উন্নত করে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। আপনিও যদি স্থূলতার সমস্যায় ভোগেন এবং ওজন কমাতে চান, তাহলে প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু ও লেবুর সঙ্গে উষ্ণ গরম জল খেতে পারেন।
বার্লি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এছাড়া বার্লি থেকে তৈরি খাবার খেলে স্থূলতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আপনিও যদি স্থূলতার সমস্যায় ভোগেন, তাহলে বার্লি বা ছাতুর তৈরি পরোটা আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
হলুদের প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। ওজন কমানোও তার মধ্যে অন্যতম। এটি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হলুদ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে এবং ওজন কমাতে চান, তাহলে প্রতিদিন খালি পেটে সামান্য কাঁচা হলুদের সঙ্গে ১ চা চামচ মধু বা আমলকী মিশিয়ে খান।
আমলকী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী। আপনি যদি অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন, তাহলে নিয়মিত আমলকী খেতে পারেন। এছাড়া এটি ওজন কমাতে সহায়ক। এর জন্য খালি পেটে বা খাওয়ার এক ঘণ্টা পর এক চামচ আমলকী মধুর সঙ্গে খেতে হবে।
আদা খিদে বাড়াতে এবং হজমের উন্নতি করতে সাহায্য করে। এটি আপনার মেটাবলিজম উন্নত করে। এছাড়া আদা খেলে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল হয়। ভেষজ বা গ্রিন টি-তে গ্রেট করা আদা মিশিয়ে দিনে অন্তত একবার, খাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে বা পরে খান। এতে দ্রুত ওজন কমানো যায়।