Why you cannot digest Milk: বেশিরভাগ লোকেরই দুধ খাওয়া 'উচিত নয়', জানুন কেন
অনেক ভারতীয় দুধ খাওয়ার পর হজমের সমস্যায় ভোগেন। এর থেকে সাধারণত পেট ব্যথা, গ্যাস, ফাঁপা, বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যার হতে পারে। এই সমস্যার পেছনে প্রধান কারণ হল 'ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স', যা বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।
এই ৫টি জিনিস দুধে মিশিয়ে খান, শীতে শরীর গরম আর সুস্থ থাকবে- কলকাতা,
- 16 Feb 2025,
- (Updated 16 Feb 2025, 7:41 PM IST)
অনেক ভারতীয় দুধ খাওয়ার পর হজমের সমস্যায় ভোগেন। এর থেকে সাধারণত পেট ব্যথা, গ্যাস, ফাঁপা, বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যার হতে পারে। এই সমস্যার পেছনে প্রধান কারণ হল 'ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স', যা বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।
ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স কী?
গরুর দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যে থাকে ল্যাকটোজ -এক ধরনের প্রাকৃতিক চিনি। দুধ হজমের জন্য আমাদের শরীরে ল্যাক্টেজ নামক এনজাইম প্রয়োজন, যা ল্যাকটোজ ভেঙে সহজে শোষণযোগ্য করে। কিন্তু অনেক ভারতীয়র শরীরে প্রাপ্তবয়স্ক বয়সে এই এনজাইমের পরিমাণ কমে যায় বা থাকে না, ফলে দুধ ঠিকমতো হজম হয় না।
ভারতে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সের হার বেশি কেন?
ভারতে এবং এশিয়ার অন্যান্য দেশে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সের হার তুলনামূলক বেশি। গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতীয় উপমহাদেশের প্রায় ৬০-৭০% মানুষের শরীরে ল্যাক্টেজ এনজাইম কম বা অনুপস্থিত। এর প্রধান কারণ:
- জেনেটিক প্রভাব – ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষদের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে ল্যাক্টেজ এনজাইম কমে যাওয়ার প্রবণতা বেশি।
- খাদ্যাভ্যাস –আগেকার দিনে ইউরোপ বা মধ্য এশিয়ার তুলনায় ভারতের খাদ্যসংস্কৃতিতে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য কম ব্যবহৃত হত। বিশেষত বাংলায় দুধ পানের চল সেভাবে ছিলই না। এখানকার মানুষের মাছ, ভাত খাওয়ারই অভ্যাস বেশি ছিল।
- বয়সের সঙ্গে পরিবর্তন – ছোটবেলায় দুধ হজম করা গেলেও অনেকের ক্ষেত্রে বড় হওয়ার পর এনজাইম উৎপাদন কমে যায়, যা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স তৈরি করে।
ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স কীভাবে বুঝবেন?
দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়ার পর যদি পেট ব্যথা, গ্যাস, ডায়রিয়া, বমি ভাব বা অস্বস্তি হয়, তাহলে এটি ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সের লক্ষণ হতে পারে।
তাহলে উপায়?
- দুধের পরিবর্তে ল্যাকটোজ-ফ্রি দুধ বা বাদাম, সয়া, ওট মিল্ক ব্যবহার করা যেতে পারে।
- দই বা ছানার মতো ফারমেন্টেড দুগ্ধজাত খাবার হজম করা তুলনামূলক সহজ।
- ল্যাকটোজ হজমের জন্য ল্যাক্টেজ ট্যাবলেট বা ড্রপ খাওয়া যেতে পারে।
ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স কোনো গুরুতর রোগ নয়, তবে এটি অনেক ভারতীয়র দৈনন্দিন জীবনে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সচেতনভাবে খাবারের তালিকা পরিবর্তন করলে সহজেই এই সমস্যা সামলানো সম্ভব।