স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত কোনও বিষয় যদি হয়, তাহলে সবার আগে আমরা চিনিকে খলনায়ক বানিয়ে তাকে বাদ দিয়ে দেওয়ার কথা বলি। সুগার হোক কিংবা কিছু নাই বা হোক চিনি সবার আগে বাদের তালিকায় চলে যায়।
চায়ে চিনি খাবেন না, খাবারে চিনি খাবেন না, শুধু চিনি কম খান, যত কম চিনি খাবেন ততো বেশি সুস্থ থাকবেন এই সমস্ত কথা আমরা বলি এমনকী চিকিৎসকরাও চিনি বাদ দিতে বলেন। কিন্তু জানেন চিনির কিছু প্রাণদায়ী গুণ আছে? যা নানা ফর্মে খাওয়ার উপায় রয়েছে। যাতে মানুষ
তৎক্ষণাৎ শক্তির জন্য
যদি তৎক্ষণাৎ শক্তির প্রয়োজন হয়, এনার্জির প্রয়োজন হয়, তাহলে চিনির চেয়ে ভালো কিছু আর নেই। আমরা যে কোনও সময় বিভিন্ন ফর্মে এই চিনি খেতে পারি।
চকলেট বা সরাসরি চিনি, বাতাসা মুখে রেখে দ্রুত শক্তি আমরা পেতে পারি। বিভিন্ন সময় খেলোয়াড়েরা তাদের পকেটের সুগার কিউব নিয়ে নামেন। দ্রুত এনার্জি পাওয়ার জন্য।
লো ব্লাড প্রেসার রোগীর জন্য চিনি অত্যন্ত ভালো কাজ করে
যাদের লো ব্লাড প্রেসার রয়েছে তারা নিজেদের সঙ্গে সুগার কিউব অথবা বাতাসা বা নকুল দানা রাখতে পারেন। এবং সেই পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরাই। এটি খেলে ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায়।
যদি আপনার ব্ল্যাকআউট হওয়ার অভ্যাস থাকে অর্থাৎ চলতে চলতে চোখে অন্ধকার দেখার সমস্যা থাকে, তাহলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় বলেই শুনেছি।
মস্তিষ্ক সচল রাখে চিনি
আপনি যদি একেবারে চিনি ছেড়ে দেন, তাহলে আপনার মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। ব্রেনে ব্ল্যাক আউট হতে পারে। মস্তিষ্কে ব্ল্যাক মস্তিষ্কে চিনির সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে মস্তিষ্ক অচল হয়ে পড়ে। বুদ্ধিভ্রষ্ট হয়।
ডিপ্রেশন দূর করে চিনি
চিনি বা চিনি জাতীয় জিনিস ডিপ্রেশন দূর করার জন্য অত্যন্ত উপযোগী। আপনারা নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন যে ডিপ্রেশনের সঙ্গে লড়াই করতে থাকা মানুষ নিজেদের কাছে চকলেট রাখেন।
বিভিন্ন ফর্মে আপনি চিনি রাখতে পারেন, যার যেটা পছন্দ। এতে মুডও ভালো হয়ে যায়। মন খারাপ দূর হয়। অতি আবেগ দূর করে মানুষকে বাস্তবের মাটিতে পৌঁছে দেয় চিনি।