কিডনি স্টোনের যন্ত্রণা শুধু অসহ্যকর নয়, এটি ব্যক্তির জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। কিডনিতে পাথর গঠনের অনেক কারণ থাকতে পারে। এর ব্যথা পেট বা পিঠের কোথাও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কম জল খাওয়া কিডনিতে পাথর গঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এ ছাড়া কিডনিতে স্টোনের জন্য ভুল খাদ্যভাসও দায়ি হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা বলছেন, কিডনিতে স্টোন গঠনের বিষয়টি খাবারের কিছু পরিবর্তন করে কমানো যেতে পারে।
বেশি জল পান করুন - একজন ব্যক্তির প্রতিদিন ১২-১৬ গ্লাস জল পান করা উচিত। হার্ট এবং কিডনির সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের তাদের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত। এ ছাড়া প্রস্রাব পরিষ্কার ও ময়লা মুক্ত রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।
কম সোডিয়াম খাবার খান - বেশি লবণ বা বেশি সোডিয়াম গ্রহণ আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়ায় এবং প্রস্রাবে সাইট্রেট কমায়। এটি কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
মাংসের ব্যবহার সীমিত করুন - মাংসের অতিরিক্ত ব্যবহার প্রস্রাবে ইউরিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম এবং অক্সালেটের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। এটি কিডনিতে পাথর গঠনের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। সেই কারণে প্রতিদিন মাত্র ৬-৮ আউন্স মাংস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ক্যালসিয়াম গ্রহণ সীমিত করুন - আপনি দুগ্ধজাত দ্রব্য সেবনের মাধ্যমে শরীরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বজায় রাখতে পারেন। সাপ্লিমেন্টের তুলনায় ফল, শাকসবজি এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য থেকে ক্যালসিয়াম পাওয়া ভালো, কারণ অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
সাইট্রাস ফল এবং রসের পরিমাণ বাড়ান - সাইট্রাস ফলের মধ্যে পাওয়া সাইট্রেট কিডনিতে পাথর তৈরিতে বাধা দেয়। লেবু এবং চুন সাইট্রেটের সেরা উৎস হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ ছাড়াও কমলা এবং আঙ্গুর কিডনিতে পাথর হতে বাধা দেয়।