অনেকই মদ্যপান করেন। তবে মনে রাখবেন মদ্যপান অতিরিক্ত হয়ে গেলে, শরীরে তার বিরূপ প্রভাব পড়ে। সেক্ষেত্রে এমন কিছু সংকেত আছে যেগুলি জানান দেয় যে শরীরে মদ সহ্য হচ্ছে না। তাই আপনারও যদি মদ্যপানের অভ্যাস থাকে এবং যদি আপনিও শরীরে সেই সংকেতগুলি দেখতে পান, তাহলে অবিলম্বে অ্যালকোহল সেবন বন্ধ করুন। নয়তো দিতে হতে পারে বড়সড় খেসারত। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সংকেতগুলির বিষয়ে।
উচ্চ রক্তচাপ এবং মানসিক চাপ
যদি মানসিক চাপ প্রচণ্ড থাকে, আর যদি রক্তচাপও বাড়তে থাকে তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মদ-বিয়ার খাওয়া বন্ধ করে দিন। কারণ বিয়ার পান করলে শরীরে করটিসলের মাত্রা বেড়ে যায়। যার ফলে বাড়তে থাকে মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা। আর সেক্ষেত্রে বিয়ার তথা অ্যালকোহল ত্যাগ না করলে বাড়তে পারে হৃদরোগের ঝুঁকিও।
ঘুম ব্যাহত
বেশ কিছুদিন ধরে যদি দেখেন রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে, চেষ্টা করেও ভাল ঘুম হচ্ছে না কিংবা দিনের বেলায় মাথা ঘোরে তাহলে অবিলম্বে মদ্যপান বন্ধ করুন। এছাড়া ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যায় ভুগলেও মদ্যপান এড়িয়ে চলাই ভাল।
খিদে না পাওয়া
যদি খিদে কমে যায় বা প্রায়শই পেট ভার অনুভব বয়, মুখে তেঁতো স্বাদ লাগে তাহলে সেটি লিভারের সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, লিভারের সমস্যা যে কারোরই হতে পারে। তবে যাঁরা অ্যালকোহল সেবন করেন তাঁদের এই আশঙ্কা বেশি থাকে। কখনও কখনও সংক্রমণ এবং ওষুধের কারণেও লিভারের উচ্চ এনজাইমের সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে বছরে অন্তত একবার অবশ্যই লিভার পরীক্ষা করানো দরকার।
আরও পড়ুন - শুক্রের গোচরে আজই মালামাল হতে পারেন ৩ রাশির জাতক
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া
কেউই অসুস্থ হতে চান না। তবে কেউ যদি বারবার অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে তার নেপথ্যে অন্যতম বড় কারণ হতে পারে অ্যালকোহল। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বিয়ার এবং অ্যালকোহল সেবনের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে বেড়ে যায় অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা। এছাড়া যাঁরা মদ্যপান করেন তাঁদের ব্যক্তিগত এবং বিবাহিত জীবনেও প্রভাব পড়ে। একইসঙ্গে, এইচআইভির মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকিও বাড়ে।