করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি তো হচ্ছেই। পাশাপাশি অজান্তেও উপসর্গহীনদের দেহেও পরোক্ষ ক্ষতি হচ্ছে৷ মূলত যাদের গর্ভাবস্থা চলছে এবং যারা মাতৃত্বের স্বাদ নেওয়ার কথা ভাবছেন। এই অবস্থায় জিঙ্ক ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। জিঙ্ক শুক্রাণুর মাইটোকন্ড্রিয়াল কোষ এবং ডিম্বাণুকে কোনও আক্রমণ থেকে আপৎকালীন ভিত্তিতে রক্ষা করে। রিপ্রোডাকটিভ সায়েন্সের জার্নালে এ বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে৷
এর আগের গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে মহিলা এবং পুরুষের প্রজনন ক্ষমতাকে কমিয়ে দিচ্ছে সারস-কোভ ২ ভাইরাস। সাম্প্রতিক এই স্টাডিতে দেখা যাচ্ছে ফার্টিলিটির ক্ষেত্রেও প্রতিকূল ভূমিকা নিচ্ছে বিশ্বে অতিমারী সৃষ্টিকারী এই ভাইরাস।
আমেরিকার ওয়ানে স্টেট ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষকরা এই স্টাডিটি প্রকাশ করেছেন৷ সেখানে জানান হয়েছে যে জিঙ্ক মৌলটি শুধুমাত্র প্রজননে সাহায্য করে তাইই নয়, ভাইরাসের বিরুদ্ধে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে৷
মার্কিন মুলুকের গবেষকেরা আরও জানিয়েছেন যে যারা পরিবারের পরিকল্পনা করছেন তাদের জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৫০ মিলি গ্রাম করে জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট খাদ্যাভ্যাসে রাখা উচিত।
শরীরে যদি জিঙ্ক এর ঘাটতি থাকে তাহলে কোষে সাইটোকাইনিন স্টর্ম শুরু হয়৷ যার ফলে দেহকোষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। প্রভাব পড়ে শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুর উপরও। এর ফলে প্রজনন ক্ষমতা কমে যায় অনেকটাই।
এই স্টাডির প্রধান ডাঃ আবু সায়ুদ জানান যে জিঙ্ক দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট হিসেবে কজা করে থাকে। প্রেগনেন্সির সময়ে এই মৌলটি দেহে অনেক সমস্যার সমাধানও করে।
করোনা আক্রান্ত হয়েছে এমন রোগীর দেহে সাইটোকাইনিন স্টর্ম শুরু হওয়ার আগে থেকে যদি জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট দেওয়া যায় তাহলে গুরুতর আক্রান্ত হওয়ার থেকে আটকানো সম্ভব হয়।