কনডোমের ব্যবহার এবং কার্যকারীতা সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই! ভারতেও বর্তমানে স্কুল স্তরে যৌন শিক্ষার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সুরক্ষিত যৌন জীবন, যৌনরোগ আর যৌনরোগের সংক্রমণ ঠেকাতে কী কী করণীয়, তা বোঝানোর জন্য সরকারি উদ্যোগে একাধিক প্রচারাভিযান চালানো হচ্ছে।
জন্ম নিয়ন্ত্রণ, সুরক্ষিত যৌন জীবনের জন্য সরকারি উদ্যোগেও বিনামূল্যে কনডোম বিলি করা হয়। তবুও এ দেশে কনডোমের ব্যবহার খুবই কম! জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষার (National Family Health Survey) রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সী ৮০ শতাংশ তরুণই সঙ্গমের সময় কনডোম ব্যবহার করেন না।
দেশের ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী প্রায় ৬৫ শতাংশ যুবক সঙ্গমের সময় কনডোম ব্যবহার করেন না। শুধু তাই নয়, ভারতের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫.৬ শতাংশ মানুষই সঙ্গমের সময় কনডোম ব্যবহার করেন। ২০১৯-’২০-তে সারা দেশে সর্বসাকুল্যে ২০০ কোটি পিস কনডোম বিক্রি হয়েছে।
কিন্তু যাঁরা সুরক্ষিত যৌনতার জন্য কনডোম কেনেন, ব্যবহার করেন, তাঁরা সঠিক জিনিসটি কিনছেন তো! যে কনডোম কিনছেন, তার মাপ, সেটি তৈরিতে ব্যবহৃত উপাদানগুলির সম্পর্কে আপনি সচেতন তো? কনডোম কেনার আগে সুরক্ষার খাতিরে কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি! চলুন সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...
ওষুধ কেনার মতো কনডোম কেনার আগেও তার ‘এক্সপায়ারি ডেট’ অবশ্যই দেখে নিন। এক্সপায়ার করা কনডোম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেটির পুরনো লুবরিকেন্ট বা তৈলাক্ত উপাদান ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।
কনডোম কেনার সময় সেটি কী জাতিয় উপাদানে তৈরি, তা দেখে নিতে হবে। সিলিকন, ল্যাটেক্স, পলিউথারিননাগেটস— এমনই নানা উপাদান দিয়ে কনডোম তৈরি করা হয়। কিন্তু কনডোম তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত এই উপাদানগুলির কোনটি আপনার ত্বকের জন্য সুরক্ষিত, তা বুঝেই সেটি কিনুন। না হলে, পরবর্তিতে ত্বকে অস্বস্তি বা অ্যালার্জি হতে পারে।