রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া করোনার সবচেয়ে ভয়ানক কমপ্লিকেশনের অন্যতম। ভাইরাল ইনফেকশন থেকে বাঁচতে প্রায় সকলেরই অক্সিজেন সাপোর্টের প্রয়োজন হচ্ছে। এক দিকে হাসপাতালে বেড নেই। অন্য দিকে অক্সিজেনের জোগানও কম।
অক্সিজেন সিলিন্ডারের জোগান কম হওয়ায় অক্সিজেন কনসেনট্রেটর্স-এর ব্যবহার বেড়ে গিয়েছে। দেশের সব শহরেই করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এটা প্রয়োগ করা হচ্ছে। কঠিন পরিস্থিতিতে কনসেনট্রেটর্স জীবনদায়ী হিসাবে উঠে আসতে পারে।
কোভিড আক্রান্তদের জন্য এই সময় অত্যন্ত কঠিন। অক্সিজেনের অভাবে অনেক রোগীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে উঠছে। এ পরিস্থিতিতে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর্স-এর চাহিদা খুব দ্রুত বাড়ছে।
কী এই অক্সিজেন কনসেনট্রেটর্স - অক্সিজেন সিলিন্ডারের পরিবর্তে ব্যবহৃত হওয়া একটি যন্ত্র হল এই কনসেনট্রেটর্স। এর প্রধানত দুটি কাজ। প্রথমত রোগীর নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হলে প্রয়োগ করা হয়। দ্বিতীয়ত শরীরের ঠিকঠাক ফাঙ্কশন করার জন্য ব্যহৃত হয়।
কী ভাবে কাজ করে - একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার যেমন রোগীকে অক্সিজেনের জোগান দেয়, এটাও ঠিক তেমনই কাজ করে। এর মধ্যে একটি ক্যানুলা, অক্সিজেন মাস্ক এবং একটি ন্যাসাল টিউব থাকে। তবে অক্সিজেন সিলিন্ডার একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। কনসেনট্রেটর্সের ক্ষেত্রে তা হয় না।
রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী এটা নানা ধরনের আকার এবং ক্ষমতা সম্পন্ন মেশিনের সঙ্গে আসে। এর রক্ষণাবেক্ষণও বেশ সহজ।
হাসপাতালে বেড অমিল তাই চিকিৎসকরা বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসার পরামর্শ দিচ্ছেন। ডাক্তাররাই কনসেনট্রেটর্স রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন রোগীদের। যাতে নিঃশ্বাসের কষ্টে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়েও রোগীকে দ্রুত অক্সিজেন দেওয়া যায়।
রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ক্রমাগত উপর-নীচ হওয়ায় বহু রোগীকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়। করোনা সংক্রমণ হয় মূলত ফুসফুসে। তার জেরেই নিঃশ্বাসে কষ্ট হয় রোগীদের। যা হাইপক্সিয়ার কারণ হতে পারে।
রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৩-এর নীচে যাওয়া খুবই দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে ওঠে রোগীদের জন্য। যদিও ডাক্তাররা বলছেন, সকল করোনা রোগীর নিঃশ্বাসের কষ্ট হয় না। বা সকল রোগীকে নিঃশ্বাসের কষ্ট থাকলেই লাইফ সাপোর্টে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।