জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তন করেই স্বাস্থ্যের উন্নতি করা যায়। আসলে আমরা যা খাই তার সরাসরি প্রভাব পড়ে শরীরে। তাই পরিস্থিতিতে সঠিক জীবনধারা বেছে নেওয়া প্রয়োজন। কারি পাতা এমন একটি খাবার যেটিকে দৈনন্দিন খাদ্যের অংশ করে তুললে মেলে অনেক উপকার। সাধারণত কারি পাতা দক্ষিণ ভারতীয় খাবারে ব্যবহার করা হয়। তবে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কারি পাতা চিবিয়ে খেলে স্বাস্থ্যের অনেক উপকার করতে পারে (Curry Patta Benefits)।
খালি পেটে কারি পাতা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কারি পাতা ভিটামিন সি, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং নিকোটিনিক অ্যাসিডের দারুণ উৎস। তাই এই পাতা সেবন শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
হজম ভাল হয়
আয়ুর্বেদে ভাল পাচনতন্ত্রের জন্য কারি পাতা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারি পাতা হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে এবং এগুলো খেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং পেট ফোলার সমস্যা হয় না। এই পাতা হজমের এনজাইমগুলিকে উদ্দীপিত করতে সহায়ক। এই কারণে সকালে খালি পেটে ৪ থেকে ৫টি কারি পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। রান্নাতেও কারি পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
চুল পড়া রোধ করতে
চুল পড়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। চুল পড়া বন্ধ করতে মানুষ বিভিন্ন উপায় গ্রহণ করেন। কিন্তু অভ্যন্তরীণভাবেও চুলের পুষ্টির প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে কারিপাতা উপকারে আসে। কারি পাতার পুষ্টিগুণ চুল পড়া রোধে সাহায্য করে। সকালের জল খাবারের আধা ঘণ্টা আগে খালি পেটে কিছু কারি পাতা চিবিয়ে খান।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
স্থূলতা এমন একটি সমস্যা যা অনেক রোগকে আহ্বান জানায়। কিন্তু কখনও কখনও ছোট কোনও পদক্ষেপও বড় পরিবর্তন আনতে পারে। যেমন কারি পাতা। এটি ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করলে বিপাক প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
প্রাতঃকালীন অসুস্থতা
মর্নিং সিকনেস যেমন ক্লান্তি, বমি বমি ভাব বা সকালে ঘুম থেকে ওটার পরেই বমি হলে কারি পাতা খাওয়া যেতে পারে। এই পাতা খেলে মর্নিং সিকনেস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কোথাও যাওয়ার সময় বমি বমি ভাব প্রতিরোধ করার জন্য এটি সঙ্গেও রাখতে পারেন।
দাঁতের ক্ষয় কমানো
মুখের স্বাস্থ্যের জন্যও কারি পাতা খাওয়া যেতে পারে। এই পাতা দাঁত থেকে ব্যাকটেরিয়া অপসারণ করতে, দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। অনেক টুথপেস্টেও কারি পাতা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন - রাজ্যে আসছেন কেজরিওয়াল, ২৩-এ মমতার সঙ্গে বৈঠক