হাইপ্রেসার একটা বড় সমস্যা। আমাদের অনেকেই হাইপ্রেসারে ভুগি। প্রেশার বেড়ে গেলে নানারকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক থেকে শুরু করে স্ট্রোক সহ নানা গুরুতর অসুখের কারণ হতে পারে দীর্ঘদিন ধরে থাকা হাইপ্রেসার।
তাই প্রত্যেককে নিজের প্রেসারের উপর লক্ষ্য রাখতে হবে। ৪০ পার হলেই নিয়মিত প্রেসার মাপাতে হবে। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকলে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে।
যদি একবার হাইপ্রেসার ধরে যায়, তাহলে ডায়েটেও আনতে হবে পরিবর্তন। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সহজলভ্য কিছু ফল আমাদের প্রেশার কমিয়ে দিতে পারে ওষুধ ছাড়াই। আসুন জেনে নিই কী কী ফল খেলে প্রেসার থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
পাতিলেবু নিয়মিত খেলে প্রেসার ভাল থাকে। এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
এছাড়াও লেবুতে রয়েছে বিশেষ কিছু খনিজ পদার্থ। যা প্রেসার কমিয়ে দেওয়ার অন্যতম অস্ত্র। লেবুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রক্তচাপকে বশে রাখতে অমোঘ দাওয়াই।
লেবু জাতীয় ফল কমলালেবুও খুব ভাল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। সাধারণ লেবুতে যা যা রয়েছে, কমলালেবুতেও সেই গুণগুলি রয়েছে।
পাশাপাশি এটি শুধুই খাওয়া যায় সুস্বাদু হওয়ায়। তাই লেবু খেতে ইচ্ছে না হলে আপনি অনায়াসে খেতে পারেন কমলালেবুও। এতেও আছে ভালো পরিমাণে ভিটামিন সি সহ অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
ফল হিসেবে আঙুর অত্যন্ত দারুণ কাজ করে। একে তো এর স্বাদে মজে আট থেকে আশি। ঠিক তেমনই নিয়মিত খেলে বিভিন্ন রোগের সঙ্গে প্রেসার থেকে আমাদের মুক্তি দিতে পারে।
আসলে আঙুরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল। এই সব মিলিয়ে আঙুর ফলটি প্রেশার কমায়। এবার এই বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত।
জামজাতীয় ফল খেলেও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
জাম শুধু উচ্চরক্তচাপই কমায় তাই নয়, মানসিক চাপও কম রাখে। জামে থাকা খনিজ আরও বিভিন্ন রকম রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
আপেলও প্রেসার কমাতে পারে। আসলে আপেল শরীরে অনেক গুরুতর সমস্যার দূর করতে সক্ষম। এর সুস্বাদ সকলেরই পছন্দ, তাই এটি খাদ্য তালিকায় রাখতে কোনও অসুবিধা নেই।