বিশ্ব পর্যটন দিবসে রাজ্য পর্যটন দপ্তরের চালু করা নতুন মোবাইল আ্যপ 'এক্সপিরিয়েন্স বেঙ্গল' এখন ডুয়ার্সের পর্যটন মহলের 'হটকেক'।
এই আ্যপের হাত ধরেই মুখ থুবড়ে পড়া ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্পে নতুন আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন এই পেশার সাথে যুক্ত কয়েক লাখ মানুষ।
এই খুশির খবরে বিশ্ব পর্যটন দিবসে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে বেড়াতে আসা সমস্ত পর্যটকদের হাতে গোলাপ ফুল, খাদা পরিয়ে মিষ্টি মুখ করালেন অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের পক্ষ থেকে।
রাজ্য পর্যটন দপ্তরের নতুন এই আ্যপে গোটা বিশ্বের পর্যটন মানচিত্র যেমন চলে আসবে পর্যটকদের হাতের মুঠোয়।
তেমনই দেশ বিদেশের পর্যটন ব্যবসায়ীরাও এই আ্যপের মাধ্যেমে বিশ্বের সমস্ত পর্যটনকেন্দ্রগুলোর পরিষেবা সম্পর্কে অনেক বেশি তথ্য জানতে পারবেন।
এই আ্যপে ইতিমধ্যেই পর্যটন শিল্পের সাথে যুক্ত ব্যবসায়ীদের আ্যড করার কাজ শুরু করে দিয়েছে রাজ্য পর্যটন দপ্তর।
অন্যদিকে এই অ্যাপ নিয়ে খাদের কিনারে চলে আসা ডুয়ার্সের পর্যটনে নতুন করে পর্যটন বিপ্লব ঘটবে বলে আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
একদিকে যেমন এই সরকারি এই আ্যপে দেশ বিদেশের উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্রগুলোর হালহকিকত থেকে খুঁটিনাটি তথ্য থাকবে।
তেমনই উত্তরবঙ্গের পাহাড়, নদী, জঙ্গলের মধ্যে গড়ে ওঠা পর্যটন কেন্দ্রগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন পর্যটকরা।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের জেরে গত প্রায় দুই বছর ধরে ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছিল। ডুয়ার্সমুখী হয়নি পর্যটকরা।
পাহাড়ে কিছু পর্যটক এলেও ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল পর্যটক মহল। সরকারি আশ্বাসেও মন ভেজেনি।
যদিও করোনা সংক্রমণের গ্রাফ কিছুটা কমতেই গুটি গুটি পায়ে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন এই জেলার পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে।
কিন্তু করোনা সংক্রমণের আগে যে হারে পর্যটকরা ভিড় জমাতেন নদী, পাহাড়, জঙ্গল পরিবেষ্টিত এই জেলায়। তা তেমন নেই এখন।
আগের তুলনায় করোনা সংক্রমণের পরে ৮০-৯০ শতাংশ পর্যটক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন সবুজ এই জেলা থেকে বলে স্থানীয় তথ্য বলছে।
সম্প্রতি, কেন্দ্রের রেলমন্ত্রকের বিলাসবহুল ভিস্তাডোম কোচের দৌলতে ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ার জেলায় পর্যটকরা ছুটে আসছেন।
তেমনই বিশ্ব পর্যটন দিবসে রাজ্য সরকারের 'এক্সপিরিয়েন্স বেঙ্গলের' সুবাদে ফের আলিপুরদুয়ার জেলার পর্যটন মহল আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন।
অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের সেন্ট্রাল ডুয়ার্সের সম্পাদক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, বিশ্ব পর্যটন দিবসে আমাদের পর্যটন কারবারিদের নতুন উপহার দিলেন রাজ্য সরকার।
আমরা আশাবাদী কেন্দ্রের ভিস্তাডোম রাজ্যের এই নতুন আ্যপ আলিপুরদুয়ার জেলার পর্যটনে বিপ্লব ঘটাবে। পর্যটকদের জোয়ার আসবে।
পর্যটক আসাও শুরু করেছেন। এদিনই যাঁরা ঘুরতে এসেছিলেন, তাঁরা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ বলে জানিয়েছেন।
পেশাদারি মনোভাবের পাশাপাশি যেভাবে তাঁরা পাশে দাঁড়িয়েছেন, ফিরে গিয়ে তাঁরা মধুর অভিজ্ঞতার কথা এলাকায় বলবেন বলেও জানান।
পরিচিতরাও যাতে নির্দ্বিধায় ডুয়ার্সে আসেন, সে ব্য়াপারে মাউথ ক্যাম্পেন করবেন। করোনা সংক্রান্ত কিছু ভয় বা চিন্তা ছিল ঘুরতে আসার আগে।
কিন্তু এখানে আসার পর করোনা বিধি মেনে যেভাবে ঘোরার বন্দোবস্ত করা হয়েছে, তা রীতিমতো প্রশংসনীয় বলে জানান তাঁরা।