পুজোর আগে উত্তরবঙ্গ ও পাহাড়ের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে দার্জিলিং হিমালয়ন রেলওয়ে। বাড়ানো হচ্ছে জয় রাইড পরিষেবায় কোচের সংখ্যা। পাশাপশি নভেম্বর মাসে শুরু হতে চলেছে ঘুম ফেস্টিভ্যাল।
উত্তরবঙ্গ ও পাহাড় বরাবরই পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু। তার ওপর ঐতিহাসিক টয়ট্রেন পরিষেবা সব সময়ই নজর কাড়ে পর্যটকদের। এ বছর পুজোর আগে পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন জয় রাইড পরিষেবা শুরু করেছে DHR।
আর এই পরিষেবা পর্যটকদের মধ্যে ভালো সাড়া জাগাতেই পর্যটকদের সুবিধার্থে এবার প্রতিটি জয় রাইডে বাড়ানো হচ্ছে কোচের সংখ্যা। পাশাপশি সংখ্যা বাড়বে ট্রেনের।
আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ADRM সঞ্জয় চিলওয়রওয়ার বলেন, টয় ট্রেনের জয় রাইডের ৩ টে স্টিম ও ৩ টে ডিজেল ইঞ্জিনের পরিবর্তে এবার ৪ টে স্টিম ও ৪ টে ডিজেল ইঞ্জিন চালু করা হচ্ছে। পাশাপশি, পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে হতে চলেছে ঘুম ফেস্টিভ্যাল।
আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে শুরু করা হচ্ছে ঘুম ফেস্টিভ্যাল যা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ ধরণের অনুষ্ঠান এই প্রথম হতে চলেছে পাহাড়ে। এই ফেস্টিভ্যালের মাধ্যমে স্থানীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হবে, জনপ্রিয় করে তোলা হবে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলকে।
এডিআরএম আরও বলেন, পর্যটকদের সুবিধার্থে আগামী ১ অক্টোবর থেকে দার্জিলিং থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী টয়ট্রেনের সময় পরিবর্তন করা হচ্ছে। আগে ট্রেনটি দার্জিলিং স্টেশন থেকে সকাল ৮ টায় রওনা দিত যার সময় পরিবর্তন করে ৯ টা করা হয়েছে। কারণ বেশ কিছু পর্যটক জানিয়েছেন এত সকালে ট্রেন ধরা মুশকিল হয়ে পড়েছে। এই কারণে টিকিটও সেভাবে বুকিং হচ্ছে না, যেই কারণেই এই সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। জয় রাইডে বিপুল সাড়া ফেলায় যাত্রী সংখ্যা বাড়াতে প্রতি জয় রাইডে কোচের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
মূলত পর্যটনের প্রচার করাই তাদের মূল লক্ষ্য। আর তাই এই ঘুম ফেস্টিভ্যালের মাধ্যমে পর্যটকদের জন্য স্থানীয় সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে। থাকবে নাচ-গানের অনুষ্ঠান। বিভিন্ন ব্যান্ডের অনুষ্ঠান সহ চা বাগান ট্যুর, মাউন্টেইন বাইকিং এমনকি ট্রেকাথন। যে সকল পর্যটক আসবেন তারা এগুলো উপভোগ করতে পারবেন। গোটা পাহাড়ে পর্যটকদের ঢল নামতে চলেছে তাই তাদের জন্যই এই ব্যাবস্থা। প্রথমবার এধরনের ফেস্টিভ্যাল পাহাড়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।