চকলেট ওয়েফার হলো চকলেট লাভারদের জন্য একটা অত্যন্ত সুস্বাদু খাবার। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চকোলেট লাভাররা এই দিনটি পালন করেন ৩ জুলাই।
বছরের এই বিশেষ একটি দিনে ৩ জুলাই দিনটিকে ন্যাশনাল চকলেট ওয়েফার ডে হিসেবে পালন করা হয়। চকলেট ওয়েফার পাতলা মচমচে এক ধরনের কুকিজ। এটা চকোলেটের সঙ্গে মিশিয়ে কিংবা চকলেটের ওপর রেখে খাওয়া হয়।
চকলেটের স্বাদকে আরও বাড়িয়ে তোলে এই ওয়েফার। মূলত ভুট্টার গুঁড়ো থেকেই তৈরি হয় এগুলি। শুধু ওয়েফার অবশ্য তেতো স্বাদের। কোকো ফ্লেভার দেওয়া থাকে বলে এগুলি এমন খেতে।
নাবিস্কো কোম্পানির ফেমাস চকলেট ওয়েফার দেশের মধ্যে জনপ্রিয় চকো ওয়েফার। চকলেট ছাড়াও অবশ্য এই ব্যাপারগুলি আলাদাভাবে চা কিংবা কফির সঙ্গে অনেকে ব্যবহার করেন।
আবার আইসক্রিমের সঙ্গেও ওয়েফার আলাদা মাত্রা যোগ করে। কেউ কেউ আবার কেকেও ওয়েফার ব্যবহার করেন। দেশের মধ্যে সর্বাধিক বিক্রিত চকলেট মিশ্রিত চকো ওয়েফার একটি বহুজাতিক সংস্থার জনপ্রিয় চকলেটের ব্র্যান্ডে বিক্রি হয়। অনেকেই ডেজার্ট হিসেবে এটা খাবারে ব্যবহার করেন।
১৯২৪ সালে চকলেট ওয়েফার বিক্রি করা শুরু করে নাবিস্কো নামে একটি কোম্পানি। সেই চকো ওয়েফার চিনি এবং আদা দিয়ে মিশ্রিত অদ্ভুত স্বাদে অচিরেই মন কেড়ে নেয় সাধারণ মানুষের।
একটি জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন চকো ওয়েফারকে জনসাধারণের মধ্যে জনপ্রিয় করে তোলে। বিজ্ঞাপনে দেখানো হয় রাতভর হুইপড ক্রিমের মধ্যে ডুবিয়ে রাখার পর সেটিকে ফ্রিজে রাখা হয়। সকালে সেটি জিভে জল আনা ডেজার্ট-এ পরিণত হয়।
ওই কোম্পানির প্রতিটি চকো ওয়েফারের টিনে কীভাবে এটি খেতে হবে, কীভাবে সর্বশ্রেষ্ঠ স্বাদে খাওয়া যাবে, তার প্রক্রিয়াও লেখা থাকে।
এই দিনটি আসলে বিক্রির কৌশলে জাতীয় দিবস বলে প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে তা সত্যিই জাতীয় চকো ওয়েফার দিবসে পরিণত হয়।
তাই দিনটি পালন করতে হলে চোখ বন্ধ করে চকোলেট ওয়েফার কিনে এনে তা থেকে ঝটপট বিভিন্ন নানা স্বাদের মেনু তৈরি করে ফেলতে কোনও অসুবিধে নেই।