ফেস মাস্ক - কোভিডের শুরু থেকেই ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়েছেন ফেস মাস্ক ব্যবহারের। করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় যে সকল সুরক্ষাবিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে প্রথম হল ফেস মাস্ক। যদিও ফেস মাস্ক কয়েকজন মানুষ আগেই ব্যবহার করতেন দূষণ থেকে মুক্তির জন্য। কিন্তু এখন ফেস মাস্ক সবসময়ের সঙ্গী। (Credit: Getty Images)
ফেস শিল্ড - করোনা আছে, থাকবে। তাই বলে তো দৈনন্দিনের কাজ থেমে থাকবে না। এরমধ্যেই চলছে অফিস, কর্মজীবন। বাসে-ট্রামে-রাস্তায় সামাজিক দূরত্বের মাপকাঠি বজায় রাখতে ব্যবাহার করতে হচ্ছে ফেস শিল্ড। ফেস শিল্ডের উপর জোর দেওয়ার একটাই কারণ। যাঁদের মাস্ক পরলে দমবন্ধ লাগে তাঁদের কষ্ট লাগু করতে এসেছে ফেস শিল্ড। জীবাণুমুক্ত মুক্ত করেতে সাবান জলে ধুয়ে নিলে বা স্যানিটাইজার দিয়ে মুছে নিলে পরিষ্কার হয়ে যায়। (Credit: Getty Images)
হেড ক্যাপ - মাথা থেকে সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তাই হেয়ার ক্যাপের ব্যবহার। হেয়ার ক্যাপ আগে দেখা গেছে মূলত দুটি ক্ষেত্রে। এক, চিকিৎসকরা অপারেশন থিয়েটারে যাওয়ার আগে অ্যাপ্রন, মাস্কের সঙ্গে এটি পড়েন। দুই, বড় চুলের অধিকারী মহিলারা অনেকসময় হেয়ার ক্যাপ ব্যবহার করেন চুল শোকানের অসুবিধার কারণে। কিন্তু এখন হেড ক্যাপ এতটাই জরুরি হয়ে পড়েছে যে, রাস্তা-ঘাটে বেরোলেই এটি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। (Credit: Getty Images)
ইনফ্রারেড থার্মোমিটার - সব জায়গায় মেনে চলা হচ্ছে সুরক্ষাবিধি। আপনার বাড়ির পাশের দোকান থেকে শুরু করে শপিং মল, মেট্রো সব জায়গায়ই এখন রয়েছে ইনফ্রারেড থার্মোমিটার। এর কাজ হল, শারীরিক সংস্পর্শে না এসে দূর থেকে Infrared Ray-এর মাধ্যমে শরীরে তাপমাত্রা দেখে নেওয়া। এর ব্যবহার করোনার আগে সেভাবে দেখা যায়নি। এখন সব জায়গাতেই 'ইনফ্রারেড থার্মোমিটার' বাধ্যতামূলক। (Credit: Getty Images)
সারফেস ডিজইনফেক্ট - করোনাকালে অফিস, পার্ক, রেস্তোরাঁ, রাস্তায় বসে আড্ডা, গল্প যেখানে সেখানে এখন এমনি এমনি বসে যেতে পারবেন না। সে দিন শেষ। এখন প্রায় সব কিছুই ডিজইনফেক্ট করা হচ্ছে। তাই ব্যবহার করা হচ্ছে Surface Disinfect। কোথাও বসার আগে বা হাত দেওয়ার আগে সারফেস ডিজইনফেক্ট ব্যবহার করছেন মানুষ। (Credit: Getty Images)
পিপিই কিট - পিপিই কিট হল পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট বা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস এটি। পুরো শরীরকে মুড়ে দেয় এই কিট। মূলত স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকরাই ব্যবহার করেন PPE Kit. ২০২০-র প্যানডেমিক অনেক সাধারণ মানুষকেও শিখিয়েছে পিপিই কিট পরা। (Credit: Getty Images)
প্যাডেল অপারেটেড স্যানিটাইজার - স্যানিটাইজারের ব্যবহার এর আগেও ছিল, তবে খুবই সামান্য। করোনা শুরু হওয়ায় স্যানিটাইজারের চাহিদা বাড়ে। কিন্তু প্যাডেল অপারেটেড স্যানিটাইজার! একই বোতলে অনেকে হাত দিয়ে স্যানিটাইজার ব্যবহার করলে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। তখন বাজারে এল Paddle operated sanitiser bottle. পা দিয়ে চাপ দিলে উপরের বোতল থেকে স্যানিটাইজার বের হয়। কোভিড ১৯ ভাইরাসের দৌলতে এর আবিষ্কার। (Credit: Getty Images)
অক্সিমিটার - জামা-কাপড় শুকাতে দেওয়ার ক্লিপের মতো ছোট্ট একটি যন্ত্র অক্সিমিটার। পালস অক্সিমিটার এখন ঘরে ঘরে। সাধারণত হাসপাতালে, বিশেষ করে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে এর ব্যবহার ছিল এতদিন। গুরুতর অসুস্থ রোগীর শরীরে অক্সিজেন কমে যাচ্ছে কি না তা দেখার জন্য এটি থাকে। অক্সিমিটার এখন বাড়িতে রাখার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। যাতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট জনিত কোনও সমস্য হলে, শরীরে অক্সিজেন কমে গেছে কি না ধরে ফেলতে পারবেন নিজেরাই। সেইমত তৎক্ষনাত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। (Credit: Getty Images)