দীর্ঘ প্রায় দু'বছর বাদে স্কুল খোলার খবরে ডুয়ার্সের পর্যটন কেন্দ্রগুলো থেকে অগ্রিম বুকিং বাতিল করতে শুরু করেছে পর্যটক মহল। ফলে ফের ডুয়ার্সের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখছে পর্যটন কারবারিরা।
ইতিমধ্যেই ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি, মালবাজার, জয়ন্তী, চিলাপাতা, জলদাপাড়া সহ সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র থেকে অগ্রিম বুকিং বাতিল শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন কারবারি মহল। পর্যটন মহল সূত্রে জানা গিয়েছে নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের থেকে শুরু করে ডিসেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহের বুকিং বেশি বাতিল হচ্ছে।
করোনা সংক্রমণের জেরে গত প্রায় দুবছর ধরে সমস্ত সরকারি, বেসরকারি স্কুল কলেজ বন্ধ। করোনার সংক্রমণের রেশ কম হতেই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। দীর্ঘ দুবছর বাদে স্কুল খোলার পর স্কুল কী ভাবে চলবে? পরীক্ষা কী ভাবে হবে? সরকারের গাইড লাইন কি হবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে শিক্ষক, ছাত্র এবং অভিভাবক মহল।
অন্যদিকে রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে স্কুল খুললে দুই ধাপে ফাইনাল পরিক্ষা নেবার কথা বলা হয়েছে। যদিও সে বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট কোনও দিন,তারিখ ঘোষণা করেনি সরকার।
তাই এতদিন বাদে স্কুল খোলার ঘোষণায় স্বাভাবিক ভাবেই ছাত্র, শিক্ষক এবং অভিভাবকরা যারা স্কুল বন্ধের জন্য নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসে পাহাড় এবং ডুয়ার্সে বেড়াতে আসার জন্য পরিকল্পনা নিয়েছিলেন এবং যারা বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে অগ্রিম বুকিং করেছিলেন সেই সব পর্যটকদের একটা বড় অংশ তাঁদের বুকিং বাতিল করে দিচ্ছেন।
যদিও এ বছর পুজোর মরশুমে পর্যটকদের ঢল নেমে ছিলো ডুয়ার্সের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। পরীক্ষার সুনির্দিষ্ট কোনও শিডিউল বিদ্যালয়গুলো ঘোষণা না করার ফলেই এই ক্যানসেলেশন বলে মনে করছেন চিলাপাতা ইক্যোট্যুরিজম সোসাইটির মুখপাত্র অভীক গুপ্ত।
তিনি এও বলেন, যে অনেক দুর্যোগের পরে ট্যুরিজম সেক্টর একটু ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সেখানে ট্যুরিস্টরা যদি ট্যুর ক্যানসেলেশন না করে পোস্টপোন করেন, তাহলে নতুন করে কোনও ক্ষতির মুখে পড়তে হবে না হোমস্টে, রিসর্ট, গাড়ি, জিপসির মালিক এবং গাইডদের।