ভ্যাকসিনের দৌড়ে রাশিয়া কিছুটা এগিয়েছে । খবরে অনুযায়ী রাশিয়া করোনার ভাইরাসের তৃতীয় টিকা আবিষ্কারের দাবি করেছে। গত অগস্টে রাশিয়া, স্পুটনিক ভি (Sputnik V)প্রথম ভ্যাকসিন চালু করে। এরপর ১৪ অক্টোবর, দ্বিতীয় ভ্যাকসিন এপিভ্যাককোরনা (EpiVacCorona) এসেছিল এবং এখন রাশিয়ার তৃতীয় ভ্যাকসিনও প্রস্তুত।
রাশিয়ার তৃতীয় ভ্যাকসিনটি রাশিয়ান একাডেমি অফ সায়েন্সেসের চুমাভক সেন্টারে তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিবেদন অনুসারে, এই সক্রিয় টিকাটি ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে অনুমোদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ভ্যাকসিনটি নভোসিবিরস্ক, সেন্ট পিটার্সবার্গ এবং কিরভের চিকিৎসার সুবিধার ক্ষেত্রে প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে পরীক্ষার জন্য অনুমোদিত হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে, এই ভ্যাকসিনটি ১৫ অক্টোবর ১৫ জন স্বেচ্ছাসেবককে দেওয়া হয়েছে। তাঁদেরর মধ্যে কোনও গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্বটি আগামী ১৯ অক্টোবর, ২৮৫ জন স্বেচ্ছাসেবকদের দেওয়া হবে। আশা করা যায় যে এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালটি ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
রাশিয়া তার কোনও ভ্যাকসিনের বেশী পরিমাণে তৈরি করেনি। রাশিয়ার প্রথম ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি অ্যাডেনোভাইরাস ভেক্টর ভিত্তিক। রাষ্ট্রপতি পুতিনের মেয়েও এই ভ্যাকসিনটিকে বিচারের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। বর্তমানে, এই টিকাটি ১৩,০০০ স্বেচ্ছাসেবীদের দেওয়া হচ্ছে।
একই সময়ে, রাশিয়ার দ্বিতীয় ভ্যাকসিন, এপিভ্যাকোরোনা একটি সিনথেটিক ভ্যাকসিন এবং এটি স্পুতনিক ভি এর চেয়ে নিরাপদ বলে মনে করা হয়। এই ভ্যাকসিনে ভাইরাস, প্রোটিনের ছোট ছোট সিন্থেটিক পেপটাইড টুকরা রয়েছে, যার প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসগুলি সনাক্ত করতে এবং নিরপেক্ষ করতে ব্যবহার করে। এটির পরীক্ষা ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবীর উপর করা হয়েছে।
রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী তাতায়ানা গোলিকোভা এবং চিফ স্যানিটারি ডাক্তার আনা পোপোভাও, এপিভ্যাকোরোনার কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য এই ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন এবং দু'জনেরই কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর নেই।
এপিভ্যাকোরোনা- র ৬০,০০০ ডোজ শীঘ্রই প্রস্তুত হবে। এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী ভেক্টর সেন্টার ৪০,০০০ স্বেচ্ছাসেবক-নিবন্ধের পরে ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করবেন। এই ভ্যাকসিনের দক্ষতা যাচাই করার জন্য ৬০ বছরের বেশি বয়সী ১৫০ জন ব্যক্তিকে দেওয়া হবে। এই ভ্যাকসিনের প্রাথমিক ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক জড়িত ছিলেন।