Snoring Treatment : ওষুধ লাগে না, নাক ডাকা বন্ধ হয় ৫ ঘরোয়া উপায়েই, রইল

ঘুমের সময় অনেকেই নাক ডাকেন। আর যেহেতু সেটা হয় অজান্তে তাই নিয়ন্ত্রণ (Stop Snoring Solutions) করারও উপায় থাকে না। এদিকে এই নাক ডাকার শব্দে (Snoring Sound) পাশে থাকা মানুষেরা নির্বিঘ্নে ঘুমোতে পারেন না। এক্ষেত্রে কোনও কোনও বিশেষজ্ঞ মনে করেন নাক ডাকার অন্যতম কারণ অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া। আর এটির সবচেয়ে বড় সমস্যা, এর নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই। এক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে (Snoring Treatment) কিছু ঘরোয়া টোটকা। 

হলুদ - হলুদের রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। এছাড়া এতে রয়েছে অ্যান্টি বায়োটিক ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। তাই হলুদ প্রদাহ কমায় এবং নাক ডাকার সমস্যাও দূর করে। এক গ্লাস উষ্ণ দুধে ২ টেবিল চামচ হলুদ মিশিয়ে খেলে এই সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়। 

অলিভ অয়েল - এই তেলে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান, যা শ্বাসযন্ত্রের টিস্যুকে শিথিল করে। এছাড়া ফোলাভাবও কমায়। তাই ঘুমোনোর আগে ১ চামচ অলিভ অয়েল খেতে পারেন। আর সঙ্গে যদি মধু যোগ করেন তাহলে খেতেও মন্দ লাগবে না। 

মেদ ঝরান - অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার কারণেও অনেক সময় নাক ডাকার সমস্যা দেখা দেয়। তাই ওজন বেড়ে গেলে নিয়মিত শরীর চর্চা করে মেদ ঝরিয়ে ফেলুন। দেখবেন নাক ডাকার সমস্যাও অনেকটা কমে গিয়েছে।  

আরও পড়ুন - টাইপ ৪ ডায়াবেটিস কী-কাদের হয়? জানুন উপসর্গ

ভেপার নিন - অনেক সময় ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে গেলে নিঃশ্বাস প্রঃশ্বাসে অসুবিধা হয়। আর সেটিও নাক ডাকার একটি কারণ। তাই ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে গেলে গরম জলের ভেপার নিতে পারেন। তাতে নাক ডাকা কমবে। 

মদ্যপান ও ধূমপান ছাড়ুন - যদি নাক ডাকার সমস্যায় ভোগেন এবং আপনার যদি ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস থাকে তাহলে অবিলম্বে তা পরিত্যাগ করুন। কারণ মদ ও সিগারেট গলার মাসেলসের জন্য ভাল নয়। এতে নাক ডাকার সমস্যা বাড়ে।