শীতকালে কলা খাওয়া উচিত কিনা তা নিয়ে অনেক মতবিরোধ রয়েছে। তবে এটা ঠিক, আপনার যদি সর্দি এবং সাইনাসের ব্যাথা, হার্টের সমস্যা থাকে তবে শীতে কলা কম খাওয়াই ভালো। তাই বলে একেবারে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেবেন না। তবে কীভাবে খাবেন?
ঠান্ডা আবহাওয়ায় হাড় সংক্রান্ত নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর জন্য ক্যালসিয়াম খায়া খুব প্রয়োজন। তা হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে না বরং তাদের শক্তিশালীও করে। পুষ্টির ক্ষেত্রে কলায় পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফোলেট, নিয়াসিন, রিবোফ্লাভিন এবং বি৬ এর মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে। এগুলি সবই শরীরের সঠিক কার্যকারিতায় অবদান রাখে এবং সুস্থ রাখে।
কলাতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ফাইবার থাকে। দ্রবণীয় ফাইবারে হজমকে ধীর করার প্রবণতা রয়েছে যা একজনকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণতা অনুভব করে। এই কারণেই কলা প্রায়শই প্রাতঃরাশের খাবারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আয়ুর্বেদ অনুসারে, বলা হয় যে রাতে কলা খাওয়া এড়ানো উচিত এতে কাশি এবং সর্দি বাড়িয়ে দেয়। হজম হতে অনেক সময় লাগে।
কলা খেলে হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধেও সাহায্য হয়। কলার মতো ফাইবার খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অফ লিডস-এর একটি সমীক্ষা অনুসারে, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের ব্যবহার বৃদ্ধি কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (সিভিডি) এবং করোনারি হার্ট ডিজিজ (সিএইচডি) উভয়ই প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কলায় থাকা পটাশিয়াম হার্টবিট, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্ককে সজাগ রাখে।
কলা হল অতিরিক্ত চিনি এবং উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার এড়ানোর একটি দারুণ বিকল্প। সন্ধ্যায় জিম করার পরে কলা খাওয়া একটি ভাল অভ্যাস।
পটাসিয়াম সমৃদ্ধ, কলা সারাদিনের ক্লান্তির পর পেশী শিথিল করতে সাহায্য করে। সন্ধ্যায় এক বা দুটি কলা খাওয়া আপনার শরীরকে আরাম দিতে সাহায্য করে।