রোহিত শর্মা ও হৃতিকা সাজদা- ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বর্তমান টেস্ট সিরিজে সেঞ্চুরি করা রোহিত শর্মা এবং হৃতিকা সাজদার প্রেমের গল্পটিও বেশ রোম্যান্টিক। হৃতিকা আগে রোহিতের ম্যানেজার ছিলেন। সেই থেকেই শুরু প্রেম। ছ'বছর ধরে একে অপরকে চিনতেন। প্রথমে বন্ধু হলেও পরে তা প্রেমে পরিণত হয়। ছ'বছর পর রোহিতই প্রোপোজ করেন। একেবারে ফিল্মি কায়দায় হাঁটু মুড়ে আংটি দিয়ে প্রোপোজ করেছিলেন তিনি হৃতিকাকে।
ধোনি এবং সাক্ষী - টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং সাক্ষী লাভ স্টোরিও বেশ 'দুর্দান্ত'। কলকাতায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচের সময় ধোনি ও সাক্ষীর দেখা হয়েছিল। সাক্ষী রাওয়াত তখন তাজ হোটেলে ইন্টার্নশিপ করছিলেন এবং ধোনি দলের সঙ্গে হোটেলে থাকছিলেন। সেখান থেকেই পরিচয়। ধোনি দেরাদুনের কাছে একটি রিসোর্টে তাঁর বাগদত্ত সাক্ষী রাওয়াতকে বিয়ে করেছিলেন।
সৌরভ গাঙ্গুলি ও ডোনা- ভারতের প্রাক্তন ক্যাপ্টেনের প্রেমের গল্পটি সিনেমার থেকে কম কিছু নয়। সৌরভ এবং ডোনা প্রতিবেশী ছিল। দুজনই ছোটবেলা থেকেই খুব ভালো বন্ধু ছিল। তবে দুই পরিবারের সম্পর্ক ভাল ছিল না। ইংল্যান্ডে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলতে যাওয়ার আগে ডোনাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন সৌরভ। ডোনাও হ্যাঁ বলতে দেরি করেননি। তবে এই সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি জানায় পরিবার। ১৯৯৬ সালে বিয়ে করেন এই দম্পতি তবে তা লুকিয়ে। ১৯৯৭ সালে দুই পরিবার মিলে তাঁদের সামাজিকভাবে ফের বিয়ে দেন।
সইফ আলি খান ও করিনা কাপুর- 'সইফিনা'র প্রেমের গল্প শুরু একেবারে বিপরীত ধারায়। বয়সের পার্থক্য প্রায় ১০ বছর। বিয়ের আগে থেকেই সইফের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছিলেন কাপুর পরিবারের কন্যা। ১৯৯১ সালে অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে সইফের বিবাহ হয়। ২০০৪ সালে দুজনের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর ২০০৭ সালে ডেটিং শুরু করেন সইফ-করিনা। ভালবাসার চিহ্ন স্বরূপ সইফ নিজের হাতে 'করিনা' নামের একটু ট্যাটুও করেন। ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সইফিনা।
শাহরুখ খান এবং গৌরী- ১৯৮৪ সালে গৌরীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল কিং খানের। যদিও তখনও তিনি বলিউডের কিং হয়ে ওঠেননি। কিন্তু গৌরীর প্রতি তাঁর প্রেম সেই সময় থেকেই অক্ষুণ্ণ। এই প্রেমের গভীরতা অনেকটাই বেশি। যদিও গৌরীকে বিয়ে করতে অনেক লড়াই করতে হয়েছে শাহরুখকে। পাঞ্জাবি ব্রাহ্মণ এবং খাঁটি নিরামিষাশী পরিবার থেকে মুসলিম পরিবার, ভালবাসায় হার মানে এই লড়াই।
শচীন তেন্ডুলকার এবং অঞ্জলি- শচীন তেন্ডুলারের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের মতো তাঁর জীবনের প্রেমের গল্পটিও আকর্ষণীয়। 'লাভ এ ফার্স্ট সাইট' ঘটেছিল শচীন ও অঞ্জলির মধ্যে। দুজন প্রথমে মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একে অপরকে দেখেছিলেন। ১৯৯০ সালে শচীন তাঁর প্রথম ক্রিকেট সফর থেকে ফিরে আসছিলেন এবং অঞ্জলি তাঁর মাকে দেখতে যাচ্ছিলেন। এর পরে শচীন ও অঞ্জলির এক কমন বন্ধুর বাড়িতে দেখা হয়েছিল দুজনের। অঞ্জলি শচীনের থেকে পাঁচ বছরের বড় এবং পেশায় একজন চিকিৎসক। এরপর ১৯৯৫ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। শচীন যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন, তখন তিনি তাঁর বিদায় ভাষণে বলেছিলেন, 'আমি যখন প্রথমবার অঞ্জলির সঙ্গে দেখা করেছিলাম তখন তা জীবনের একটি আনন্দের মুহূর্ত ছিল'।