বাড়ির বেডরুম আমাদের জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষত নব-বিবাহিতদের জন্যে তাঁর মাহাত্ম্য অনেক। অনেক সময়ে স্বামী-স্ত্রীয়ের মধ্যে সামান্য কারণেই ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়। যা পরবর্তী কালে, তাঁদের মধ্যে দূরত্ব ডেকে আনে। অনেক সময়ে অনেক ব্যক্তির তাঁদের বেডরুমে দমবন্ধকর পরিস্তিতি তৈরি হয়। তাঁদের মনে হয় কিছু একটা আছে, যা তাঁদের এই সমস্যার কারণ।
বেডেরুমে কোনও নেগেটিভ এনার্জি অনুভূত হলে, আজ থেকেই আপানর এই বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত। জোত্যিষ ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ বিশাল আরোরার কথা অনুযায়ী এই জিনিসগুলি আপনার বেডরুমে একদম রাখবেন না। তাহলেই বজায় থাকবে সুখ স্বাছন্দ্য।
ধর্মীয় ছবি বা বই
মনে করা হয় বেডরুমে শুক্র গ্রহ বিরাজ করে। এবং শুক্র মানেই আনন্দ - ফুর্তি। এদিকে বলা হয় বৃহস্পতি এবং শুক্র একে অপরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে থাকে সব সময়। যদি আপনার শোয়ার ঘরে হনুমান চল্লিশা বা কোনও ধর্ম গ্রন্থ কিংবা কোনও ধর্মীয় ছবি থাকে, তাহলে তা এই মুহূর্তে সরিয়ে ফেলুন। এতে সুরক্ষিত ও শান্তিতে থাকতে পারবেন।
বিছানার চাদর
আপনার বাড়িতে যদি কালো রঙের বিছানার চাদর থাকে তাহলে ওটা কখনই পাতবেন না। আপনি যতই কালোপ্রেমী হন না কেন, এটি আপনার জীবনে ক্ষতি ডেকে আনবে নয়। এমনকি ের ফলে স্বামী-স্ত্রীয়ের মধ্যেও অশান্তি লেগে থাকবে। এই সমস্যা দূর করতে রঙিন চাদর বেছে নেবেন সর্বদা।
তাজমহল
অনেকেই তাজমহলকে ভালোবাসার প্রতীক মানেন এবং শো-পিস বা ছবি, বেডরুমে রাখেন। আপনার বাড়িতেও যদিও এরকমই থাকে, তবে এখুনি তা সরিয়ে ফেলুন। ভালোবাসার প্রতীক হলেও বাস্তু মতে তাজমহল কখনই বেডরুমে রাখা ঠিক না। শুরু তাই নয়, কোনও রকম দুঃখজনক বা মন খারাপ করা ছবিও বেডরুমে রাখবেন না।
বৈদ্যুতিন জিনিস
আমরা অনেক সময়েই বিভিন্ন বৈদ্যুতিন জিনিস উপহার পাই। প্রয়োজন ছাড়াও সেগুলো বেডরুমেই রাখি অনেক ক্ষেত্রেই। তবে জানেন কি বৈদ্যুতিন জিনিস রাহুকে প্রতিনিধিত্ব করে। আর শুক্র এবং রাহু কখনোই মেলে না। অনেক সময়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারেন না অনেকেই। এক্ষেত্রে খাটের ওপরে কোনও বৈদ্যুতিন জিনিস আছে কিনা দেখুন। থাকলে হয় সেগুলি সরিয়ে ফেলুন নয় কোনও আলমারি বা শো-কেসে রেখে দিন।