ত্রিশোর্ধ্ব অনেকেরই আজকাল আমিষে অভক্তি তৈরি হয়েছে। আবার ডায়াবেটিস, হার্ট কিংবা লিভারের অসুখে ভোগা অনেকেই নিরামিষ খাবারই খেয়ে থাকেন। তবে অনেক সময়েই মাছ-মাংস না থাকলে সুস্বাদু রান্না কীভাবে হবে, তা ভাবতে ভাবতে দিন কাবার হয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে এমন কোন কোন উপকরণ রয়েছে যা দিলে নিরামিষ খাবারের স্বাদ বেড়ে যায়?
পুজোর ভোগ খেতে কার না ভাল লাগে। অনেক সময়ে এমনিতেও এমন খিচুড়ি খাওয়ার বাসনা জাগে। সেক্ষেত্রে এমন খিচুড়ি করতে গিয়ে অনেকেই সঠিক মাত্রায় সমস্ত কিছু মেশাতে পারেন না। গুলিয়ে যায় চাল-ডালের হিসেব।
এই খিচুড়িতে পেঁয়াজ-রসুন ব্যবহার হয় না। তাই খিচুড়ি, আলুরদম, ল্যাবড়ার তরকারি করতে গিয়ে অনেকেই ছড়িয়ে ফেলেন। স্বাদ আসে না সঠিক।
শুধুমাত্র ভোগের মতো খিচুড়ি রান্নাই নয়, নিরামিষ অন্যান্য পদ তৈরি করতে গিয়েও নাকানিচোবানি খান অনেক ফার্স্ট টাইম রাঁধুনিরা। কেউ কেউ আবার সঠিক উপকরণ হাতের সামনে থাকা সত্ত্বেও রান্নায় তেমন স্বাগ আনতে পারেন না।
নিরামিষ খাবারের স্বাদ বাড়াতে কিছু এমন উপকরণ রয়েছে, যেগুলি রান্নায় দেওয়া মাস্ট। সেগুলি কী কী? জানেন?
নিরামিষ রান্নায় পেঁয়াজ-রসুন ব্যবহার করা যায় না। তবে ব্যবহার করতে পারেন আদা বাটা। আলুরদম হোক বা পনিরের ডালনা কিংবা ছানার কোফতা, আদা বাটা দিলে টেস্ট বাড়ে।
আবার নিরামিষ রান্নায় হিং ফোড়ন দিলে খাবারের স্বাদ বদলে যেতে পারে। যে কোনও নিরামিষ তরকারিতে হিং ফোড়ন দিতে পারেন।
পেঁয়াজ-রসুনে নিষেধ করা হলেও মা-ঠাকুরমারা নিরামিষ রান্নায় টম্যাটো ব্যবহার করেন। নিরামিষ যে কোনও তরকারিতে গ্রেভি তৈরির জন্য টম্যাটো ব্যবহার করা হয়। টম্যাটো বাটা বা পিউরি ব্যবহার করা যায়।
নিরামিষ খাবার আরও সুস্বাদু করতে ক্যাপসিকাম ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে চিলি পনিরের মতো পদে ক্যাপসিকাম মাস্ট। নবরত্ন কারি হোক বা আলুর তরকারি, ক্যাপসিকাম দিলে স্বাদ বাড়ে।
নিরামিষ খাবারের গ্রেভি ঘন করতে পেঁপে বাটা বা টকদই ব্যবহার করা যায়। পেঁয়াজের বদলে পেঁপে বাটা বা টকদই দারুণ স্বাদ আনে নিরামিষ খাবারে।