নিজেকে আরও আকর্ষনীয় করে তুলতে হামেশাই প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে থাকেন সিনে দুনিয়ার মানুষজন। এমনই সুন্দর হওয়ার লোভে নিজের নাকে অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন এক তরুণী। কিন্তু তুরস্কের এক ক্নিনিকে প্লাস্টিক সার্জারি করানোর পর তার দুটি পা হাঁটুর নীচ থেকে বাদ দিতে হল। আসলে, ২৫ বছরের ওই তরুণী সেভিঙ্ক সেকলিক তাঁর নাক ছোট করার জন্য ইস্তাম্বুলের একটি বেসরকারী হাসপাতাল থেকে সার্জারি করেছিলেন। সেভিঙ্কের কোনও ধারণা ছিল না যে একদিন এই সার্জারি তার পা হারানোর কারণ হয়ে উঠবে।
অস্ত্রোপচারের পরেই জ্বর আসে - মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ২৪ শে মে, ২০১৪ তে, প্রায় দুই ঘন্টা ধরে চালানো অপারেশনের পরে, তার অবস্থা ভালই ছিল, চিকিৎসকরা তাকে বাড়িতে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়িয়ে গিয়ে সেভিঙ্কের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। তবে হাসপাতাল থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল সে ঠিক রয়েছে। এক সপ্তাহ পরে, তিনি যখন চিকিৎসকদের সাথে দেখা করতে হাসপাতালে যান, সেখানে উপস্থিত সমস্ত কর্মীকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
দিন দিন পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে - স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, হাসপাতাল থেকে তাকে বলা হয়েছিল সমস্ত উপসর্গগুলি স্বাভাবিক এবং আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই জাতীয় উপসর্গগুলি প্রায়শই অপারেশনের পরে দেখা যায়। তবে চিকিৎসকদের আশ্বাস সত্ত্বেও ওই তরুণীর অবস্থা দিন দিন আরও খারাপ হতে থাকে।
পায়ে রঙ কালো হয়ে যাচ্ছিল - মিডিয়া রিপোর্টে সেভিঙ্কেরর ভাই, যার নাম প্রকাশ করা হয়নি, তিনি বলেছিলেন, " অস্ত্রোপচারের পরে সেভিঙ্ক অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তার পা কালো হয়ে গেছিল। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ফের তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
প্রাণ বাঁচাতে বাদ দিতে হল পা- ৯ জুন চিকিৎসকরা সেভিঙ্কের পরিবারকে জানায় তার রক্ত বিষক্রিয়া সমস্যা দেখা দিয়েছে। তার জীবন বাঁচাতে পা কেটে নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। শেষ পর্যন্ত সেভিঙ্কের জীবন বাঁচাতে ডাক্তারদের হাঁটুর নীচ থেকে তাঁর পা কেটে ফেলতে হয়েছিল।
হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের - এক্ষেত্রে সেভিঙ্ক হাসপাতাল প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে এবং এক কোটি টাকা (অস্ট্রেলিয়ান মুদ্রায় ১,৭৭,৩৯৯ ডলার) ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। এদিকে হাসপাতালের কর্মীরা বলছেন যে এই ঘটনার জন্য তাদের দোষ দেওয়া ঠিক হবে না। এতে তাদের দোষ নেই।