প্রতিনিয়ত বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা। ডিভোর্স শব্দটা যেটা বহুকাল ধরে সমাজে একটা গালির মত ছিল, সেটা আজ বহুল প্রচলিত হয়ে গেছে। যদি ভাল করে দেখা যায়, তাহলে এই ঘটনার পেছনের কারণ কোনওভাবেই নতুন নয়। বছরের পর বছর ধরে অনেক দম্পতি প্রেম ছাড়া বাধ্যতামূলকভাবে একে অপরের সঙ্গে বসবাস করেছেন। তুলনামূলক শিক্ষার হার কম হওয়ার কারণে বিশেষ করে মহিলারা এই জিনিসের শিকার হচ্ছেন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পরিবর্তিত হচ্ছে। এখন কেউ, পুরুষ বা মহিলা, এমন বিয়েতে থাকতে বাধ্য হয় না যেখানে সে সুখী নয়।
তবে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে কোনও দম্পতির জন্য বিবাহবিচ্ছেদ সহজ নয়। এমন পরিস্থিতিতে, এখানে আপনি সেই গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলি সম্পর্কে জানতে পারেন যা স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে ফাটল তৈরি করে।
স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে প্রেম
বিয়ের পর এমন মানুষদের মধ্যেও প্রেম শেষ হয়ে যায়, যারা প্রেমের বিয়ে করে। সাধারণত স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে দায়িত্বের কারণে মানুষ একে অপরকে সময় দিতে পারে না, যা পরবর্তীতে দূরত্বের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর পাশাপাশি এটাও দেখা যায় যে, অনেকেই তার সঙ্গীকে তুচ্ছ মনে করতে শুরু করে, যা সম্পর্ক থেকে পারস্পরিক ভালবাসা এবং সম্মান হারানোর প্রধান কারণ।
চাহিদার পার্থক্য
যৌনতা একটি সফল বিবাহের চাবিকাঠি। এমন পরিস্থিতিতে সঙ্গীকে সন্তুষ্ট করতে না পারলে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক এবং বিবাহবিচ্ছেদের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই বিয়ের আগে নিজেদের পছন্দ ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে একে অপরের সঙ্গে কথা বলা দরকার।
অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক
প্রায়শই বিবাহিত ব্যক্তিরা তাদের শারীরিক ও মানসিক চাহিদা মেটানোর জন্য স্ত্রীর অজান্তেই অন্য মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। যেখানে এই জিনিসের কারণে অনেকের বিয়ে ভেঙে যায়, সেখানে এখন মানুষ বিয়ের প্রতি বিশ্বাসও হারাচ্ছে। অনেক রিপোর্টে দেখা যায় বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম প্রধান কারণ।
স্ত্রীকে সম্মান না করা
বিয়ের পর যখন আপনি একজন মানুষের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন, তখন ধীরে ধীরে আপনার সামনে সেই ত্রুটিগুলি দেখা দিতে পারে যা আপনার একেবারেই পছন্দ নাও হতে পারে। কিন্তু এর ভিত্তিতে তাকে সর্বদা অপমান করা এবং সম্মান না করা ঠিক নয়। এতে করে অনেক সময় বিয়েও ভেঙে যায়।
নির্যাতন
মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন সবচেয়ে বেশি হয় বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যেই। আর সেটা হয় মহিলাদের বিরুদ্ধেই বেশি। এক্ষেত্রে বিয়ে সাধারণত বিবাহবিচ্ছেদে শেষ হয়।