বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ছাপ পড়ে চেহারায়। ত্বক ঔজ্জ্বল্য হারায়। আগের মতো টানটান থাকে না। বলিরেখা দিতে শুরু করে। যৌবন তখন অস্তগামী। অনেকেই বার্ধক্য ঠেকাতে ত্বকের যত্ন নিতে নানা পন্থা নেন। ত্বকের চিকিৎসা থেকে বিবিধ লোশন ব্যবহার করেন বহু মানুষ। কিন্তু তাতেও খুব বেশি প্রভাব পড়ে না। কারণ আর যাই হোক রাসায়নিক একটা মাত্রা পর্যন্ত কাজ করতে পারে। অনেক সময় উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়। তাই খাদ্যাভ্যাস বদলান আগে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ঠিক থাকলে বয়স থাকবে হাতের মুঠোয়। আর তাই 'অ্যান্টি এজিং খাবার' সামিল করুন আপনার ডায়েটে। কী কী খাবেন-
প্রচুর পরিমাণে সোয়া খাবার - সয়াবিন, সয়া ময়দা, সয়া দুধ এবং টফুর মতো সয়া পণ্যগুলিতে চর্বি কম। এগুলি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। সয়া পণ্যে জেনিস্টিন থাকে যা শরীরকে তরুণ ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ডিম- রবিবার হোক বা সোমবার, প্রতিদিন ডিম খান। একটি সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ডিম খেলে আপনার সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ডিমে থাকে ভিটামিন এ, বি আর ই। এগুলি ত্বক ভাল রাখে।
বেদানার বহু গুণাগুণ- বেদানা শরীরের ডিএনএ-তে বার্ধক্যের প্রক্রিয়া অক্সিডেশনতে শ্লথ করে দেয়। এটি খেলে ত্বক উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যবান হয়। তাই প্রতিদিন তাই একটা করে বেদানা খান।
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি- কমলা লেবু, মৌসম্বি লেবু, আঙুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এতে বায়োফ্ল্যাভোনয়েড এবং লিমোনিনও রয়েছে। একটি গবেষণা অনুযায়ী, তা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থ (কার্সিনোজেন) দূর করে। এছাড়া এই সমস্ত ফলে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
ত্বকের তারুণ্যে দই- দইয়ে নানা ধরনের পুষ্টিকর উপাদান পাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, দইয়ে রয়েছে ভাল ব্যাকটেরিয়া। যা হজমে সাহায্য করে। ক্যালসিয়ামের উত্তম উৎস হওয়ার পাশাপাশি দই ত্বককে রাখে তরুণ।
অঙ্কুরিত শস্য- অঙ্কুরিত ছোলা অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে। এতে বিটা-ক্যারোটিন, আইসোথিওসায়ানেটস ক্যানসার রুখে দেয়। নিয়মিত অঙ্কুরিত ছোলা খেলে দীর্ঘদিন যৌবন ধরে রাখতে পারবেন।
হলুদ ফল- কুমড়ো, আম, মিষ্টি আলুর মতো সব হলুদ ফল ও সবজিতে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি এবং এনজাইম প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এগুলো পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে তোলে। যা ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন- রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম আসে না, অনিদ্রা কাটাতে খান এই ৭ খাবার