বৈশাখ মাস পরতে না পরতেই গ্রীষ্ণের দাবদাহে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। গরমে মানুষ হাঁসফাঁস করছে। গরম থেকে বাঁচতে মাঝে মাঝেই ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিচ্ছেন। যাতে একটু আরাম পাওয়া যায়। সকালে বিকালে যখনই সময় পাচ্ছেন ঠান্ডা জল দিয়ে মুখে ঝাপটা দিচ্ছেন। ভাবছেন গরমে রেহাই পাওয়ার পাশাপাশি ত্বকও পরিষ্কার হচ্ছে। এটাতে খারাপের কিছুই নেই কিন্তু এটা মাঝে মাঝে ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
যদি প্রচন্ড ঠান্ডা জলে মুখ ধোন, তাহলে কিন্তু মুখে অনেক সময় ক্ষতি হতে পারে, তাই সাধারণ তাপমাত্রায় অর্থাৎ এমনি যে ঠান্ডা জল সেই ঠান্ডা জলে মুখ ধুতে পারেন, অতিরিক্ত ঠান্ডা জলে বা বরফ জলে মুখ ধুলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে ঋতু পরিবর্তনের সময়, এইভাবে যদি ঠান্ডা লাগে, তাহলে কিন্তু অনেক ক্ষতি হতে পারে তাই অবশ্যই বুঝে শুনে সাধারণ তাপমাত্রার জলে মুখ ধুয়ে নিন।
আরও পড়ুন: শুরু ইদের কাউন্টডাউন! বিরিয়ানি থেকে সেমাই, এই পদগুলি মেনুতে থাকা মাস্ট
এতো গেল ক্ষতিকারক দিক। তবে ঠান্ডা জলে মুখ ধোওয়ার অনের উপকারও কিন্তু রয়েছে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বরফ জলে মুখ ধুলে মুখ অনেক বেশি ফ্রেশ থাকে এবং মুখের উপরে হওয়া নানান রকমের র্যাশ অথবা ব্রণ সহজেই কমে যায়।
মেকআপের আগে বরফ জলে যদি মুখ ধোওয়া যায় তবে মেকআপ অনেকক্ষণ পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। মেকআপ সহজে উঠে যায় না।
আরও পড়ুন: দিন-রাত এই খাবার শরীরও ঠান্ডা রাখে, ওজনও ঝরায় দ্রুত
ঠান্ডা জলে মুখ ধোওয়ার পর মুখের ভেতরে ব্লাড সার্কুলেশন অনেক ভাবে বেড়ে যায়, যার ফলে মুখের ভেতরে অক্সিজেন সাপ্লাই অনেকাংশে বাড়ে, যার জন্য ত্বকের জেল্লা বেড়ে যায়।
এছাড়া মুখের ওপরে থাকা নানান রকম ময়লা পরিষ্কার করতে সহজেই সাহায্য করে ঠান্ডা জল। এছাড়া মুখের ভেতরে হওয়া নানান রকম ইনফেকশন, সহজেই চলে যেতে পারে এবং অকাল বার্ধক্য দূর করতে পারে এই ঠান্ডা জলে ঝাপটা।