একটা জিনিস কিন্তু একাধিক তার কাজ। ওজন কমানো থেকে খাবারে মেশানো সব কাজেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে মধু। মধু নিয়মিত রূপচর্চায় যদি ব্যবহার করা হয়ে থাকে তবে আপনি পেতে পারেন উজ্জ্বল একটি ত্বক। আপনার গ্ল্যামার থেকে চোখ সরাতে পারবেন না কেউ। কেউ দইয়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে মাখেন। কেউ অন্য কিছুর সঙ্গে মধু মেশান। কেউ স্নানের আগে মাখেন, কেউ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময়ে। কিন্তু মধু কেন জনপ্রিয় ত্বকের যত্নের জন্য। মধু দিয়ে রূপচর্চা করার চল তৈরি হল কী কারণে? কী এমন গুণ আছে এর?
অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান
ত্বক পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখতে পারে মধু। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান। আছে বহু ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও। সব মিলে ত্বক থেকে জীবাণু দূর করে। আবার ত্বক আর্দ্রও রাখে।
মধু ত্বককে টানটান রাখে
মধুতে উপস্থিত প্রোবায়োটিক ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকে পুষ্টি জোগায়। তাতে ত্বক মসৃণ ও টানটান থাকে। দাগছোপ কম পড়ে। ফলে ত্বকে বার্ধক্য আসে দেরিতে।
আরও পড়ুন: এই ৫ তরল খেলেই বাড়ে কোলেস্টেরল, হতে পারে হার্ট অ্যার্টাক-স্ট্রোক
মধু মৃত কোষ তুলে ফেলতে পারে
ত্বক যত্নে রাখার জন্য নিয়মিত মৃত কোষ তুলে ফেলা দরকার। মধু এই কাজে বেশ সক্ষম। তাই মুখে কিছু ক্ষণ মধু মেখে রেখে তার পর ধুয়ে ফেললে ত্বকের জেল্লা ফিরে আসে। একই কারণে মুখের কোনও মাস্ক তৈরি করলে অল্প মধু দিয়ে দেওয়া হয়। কম সময়ে ঔজ্জ্বল্য ফিরে পেতে অ্যাভোক্যাডো, লেবুর রস কিংবা অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে মধু মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিসের শত্রু হল করলা, এভাবে খেলে হু হু করে কমবে সুগার
প্রাকৃতিক এক্সফলিয়েটর
মধু খুব ভালো এক্সফলিয়েটর। এটা ব্যবহারে ত্বকের অস্বস্তিকর জ্বালাভাব দূর হয়। মধু মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন অথবা এর সঙ্গে অ্যাভোকাডো, লেবু বা অ্যাপল সাইডার মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন।
আরও পড়ুন: ছাতিফাটা গরমে প্রাণ বাঁচাতে সঙ্গী করুন কাঁচা আম
ব্রণের জন্য উপকারি
মধু ত্বকের ব্রণ দূর করতে কার্যকার ভূমিকা পালন করে। এর প্রদাহরোধী উপাদান ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে এবং প্রতিদিন ব্যবহারে ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখে। এছাড়াও ত্বকের কড়া দাগ ও ‘ব্রেক আউট’ দূর করতে এমনকি ত্বকের খারাপ অবস্থা- একজিমা বা সিরোসিস উপশমেও মধু সহায়তা করে। মধুর আরামদায়ক ক্ষমতা দ্রুত ত্বকের ক্ষতি সারিয়ে নিতে পারে।