scorecardresearch
 

Heart Failure : দিনের কোন সময়ে হার্ট ফেল-এর ঝুঁকি সর্বাধিক-কাদের সাবধানতা জরুরি

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন মানুষ দিনে খুবই সক্রিয় থাকেন। অন্যদিকে রাতে মানুষ ক্লান্ত থাকেন এবং প্রচুর ঘুমের প্রয়োজন হয়। এই বায়োলজিক্যাল ক্লকের কারণে দিনের প্রথম কয়েক ঘণ্টায় আমাদের রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। সার্কাডিয়ান ছন্দের প্রতিক্রিয়া হিসেবে হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপের এই বৃদ্ধি কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে ব্যাপকভাবে উত্তেজিত করে। সার্কাডিয়ান রিদম হল শরীরের ভিতরে চলা ২৪ ঘণ্টার একটি ঘড়ির মতো যা পরিবেশ এবং আলোর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ঘুমানোর এবং জেগে ওঠার সময়গুলি ট্র্যাক করে। 

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • সকালের দিকে বেশি হয় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট
  • যে কেউ এতে আক্রান্ত হতে পারেন
  • নেপথ্যে থাকে যা কারণ...

বিগত কয়েক বছরে অনেকটাই বেড়েছে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের (Cardiac Arrest) ঘটনা। যেকোনও মানুষের যেকোনও সময় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন দিনের শুরুর দিকেই বেশিরভাগ কার্ডিক অ্যারেস্টের ঘটনা ঘটে। কিন্ত বেশিরভাগ সময় সকালের দিকেই এই ঘটনা ঘটে কেন জানেন?

এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শরীরের কিছু হরমোনের কারণে এমনটা হয়। সাধরণত ভোর ৪টার দিকে, আমাদের শরীর সাইটোকিনিন নামক একটি হরমোনের নিঃসরণ হয়, যা অ্যারিথমিয়া বা আচমকা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণ হতে পারে। ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির গবেষকদের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এর জন্য দায়ী মূলত শরীরের ইন্টারনাল ক্লক। এক বিশেষজ্ঞের মতে, শরীরে একটি বায়োলজিক্যাল ক্লক রয়েছে, যা দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে। 

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন মানুষ দিনে খুব সক্রিয় থাকেন। অন্যদিকে রাতে মানুষ ক্লান্ত থাকেন এবং প্রচুর ঘুমের প্রয়োজন হয়। এই বায়োলজিক্যাল ক্লকের কারণে দিনের প্রথম কয়েক ঘণ্টায় আমাদের রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। সার্কাডিয়ান ছন্দের প্রতিক্রিয়া হিসেবে হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপের এই বৃদ্ধি কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে ব্যাপকভাবে উত্তেজিত করে। সার্কাডিয়ান রিদম হল শরীরের ভিতরে চলা ২৪ ঘণ্টার একটি ঘড়ির মতো যা পরিবেশ এবং আলোর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ঘুমানোর এবং জেগে ওঠার সময়গুলি ট্র্যাক করে। 

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সকালে এই ধরণের স্ট্রোক এবং অ্যাটাকের জন্য দায়ী সার্কাডিয়ান রিদম। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ঘটে ভোর ৪টে থেকে সকাল ১০টার মধ্যে। সার্কাডিয়ান সিস্টেম সকালে বেশি পরিমাণে PAI-1 কোষ নির্গত করে, যা জমাট বাঁধা রক্তকে ভাঙতে দেয় না। রক্তে PAI-1 কোষের সংখ্যা যত বেশি, রক্ত ​​জমাট বাঁধার সম্ভাবনাও তত বেশি। যার ফলে হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট দেখা দেয়।

Advertisement

বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, সকাল বেলা এবং ঘুমের শেষ পর্যায়টি হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack), সব ধরনের কার্ডিওভাসকুলার ইমার্জেন্সি, হঠাৎ কার্ডিয়াক ডেথ এবং স্ট্রোকের (Stroke) জন্য খুবই বিপজ্জনক সময়। লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটিতে হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত রোগীদের রক্তে প্রতিরক্ষামূলক অণুর মাত্রা সকালে উল্লেখযোগ্যভাবে কম থাকে। যার কারণে ওই সময়ে রক্ত ​​জমাট বাঁধা এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

কোন কারণগুলি কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি বাড়ায়?
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপানের কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, বর্তমানে তরুণ প্রজন্ম জীবনের শুরুতেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের (Cardiac Arrest Reasons) সম্মুখীন হচ্ছে। এর নেপথ্যে অনেক কারণ রয়েছে, যেমন ভুল জীবনধারা, পাতলা ঘুম এবং রাতজাগা, মানসিক চাপ বৃদ্ধি, অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন ইত্যাদি। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্টকে সুস্থ রাখতে হলে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুম, ফ্রেশ জীবনযাপন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার (Cardiac Arrest Prevention Food) খাওয়া জরুরি।

আরও পড়ুনকুর্মি সমাজের রেল রোকো, হাওড়ায় বাতিল বহু ট্রেন, রইল তালিকা


 

Advertisement