গরমকালে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঘটনা বেশি হয়। বর্তমানে শুধু বয়স্করাই নয়, তরুণ-তরুণীরাও শিকার হচ্ছেন। এজন্য দায়ী অনিয়ন্ত্রিক জীবনযাপন। সারাদিন উল্টোপাল্টা খাওয়ায় বাড়ছে কোলেস্টেরল। শিরায় শিরায় মোমের মতো নোংরা পদার্থে ভরে যায়। যা শিরাগুলোকে ব্লক করে দেয়। বন্ধ করে দেয় রক্ত চলাচল। এই মোমের মতো পদার্থকে বলা হয় কোলেস্টেরল। এতে বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি।
শরীরে কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা ২০০ mg/dl-এর কম থাকা উচিত। তা অতিরিক্ত হলে বিপজ্জনক হতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে এই মোমের মতো পদার্থ শিরায় জমে যায়। এটি রক্ত সঞ্চালনকে প্রভাবিত করে। রক্তচাপ থেকে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। ঘরোয়া উপায়েই কমানো যায় কোলেস্টেরল। ঘরোয়া উপায়ে প্রাকৃতিকভাবে কোলেস্টেরল কমালে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় থাকে না। সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কাঁচা রসুন খান। কোলেস্টেরলের উচ্চ মাত্রা কমানোর পাশাপাশি শিরায় জমে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলও পরিষ্কার হবে। কারণ, রসুন পুষ্টিগুণে ভরপুর। ..
রসুন খারাপ কোলেস্টেরলের শত্রু
আয়ুর্বেদে রসুনকে আলাদা স্থান দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হল, এতে সব ধরনের ঔষধি উপাদান পাওয়া যায়। ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং অ্যালিসিন পাওয়া যায় রসুনে। এটি খারাপ কোলেস্টেরল থেকে শুরু করে রক্তচাপ, ব্লাড সুগার সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে। কমায় হৃদরোগের ঝুঁকি।
আরও পড়ুন- এই ৪ খাবার কম বয়সেই বুড়িয়ে দেয়, যৌবন ধরে রাখতে চাইলে এখনই ছাড়ুন
উচ্চমাত্রার খারাপ কোলেস্টেরলের সমস্যায় থাকলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত রসুন খাওয়া শুরু করুন। প্রতিদিন এক গ্লাস জলের সঙ্গে দুই কোয়া কাঁচা রসুন খান। শিরায় জমে থাকা কোলেস্টেরল পরিষ্কার করবে। স্যুপ এবং সবজিতেও রসুন খেতে পারেন।
আরও পড়ুন- ঠান্ডার ধাত, গলা ব্যথা থেকে সর্দিকাশি- দিদা-ঠাকুমার টোটকায় উপশম
রসুন ও লেবু মিশিয়ে জল খেলে কোলেস্টেরল দূর হয়। লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। রসুনের সঙ্গে এর শক্তি দ্বিগুণ হয়। হার্টকে রক্ষা করে। রসুনে পাওয়া ভিটামিন বি৬ লোহিত কণিকাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।