অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। অনেক কিছু করেও তাদের সমস্যা মেটে না। এর ফলে তাঁদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে।
বলা যেতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দু'রকমের। একটা স্বল্পমেয়াদী, আর অন্যটি দীর্ঘমেয়াদী। প্রথমটি হতে পারে কোথা থেকে কয়েকদিন ঘোরাঘুরি করে আসার পর, অস্ত্রোপচার, খাবারের অভ্যাসে কোনও বদল এলে। আর দ্বিতীয়টি দীর্ঘদিনের। কারও ক্ষেত্রে কয়েক সপ্তাহ তো কারও তার থেকে বেশি।
আরও পড়ুন: টানা ১৪ ঘণ্টা ঘুম লোকো পাইলটের, চুঁচুড়ায় পুলিশ এসে ভাঙল তালা
ঘটনা হল সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললে বা খাদ্যাভাসে কিছু পরিবর্তন আনলে সেগুলো কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হেসেখেলে কাটিয়ে যেতে পারে। যেমন জাঙ্কফুড খাওয়া কমানো, জল বেশি করে খাওয়া এর মধ্যে অন্যতম। কী কী পদ্ধতি মেনে চললে খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়, জেনে নিই।
বেশি করে জল খাওয়া
শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাওয়া এই সমস্যা হতে পারে। তাই বেশি করে জল খেতে হবে। এটা সবথেকে সহজ কাজ।
খাবারের ফাইবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে
এটি অত্যন্ত কার্যকরী উপায়। খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। ফল, সবজি বেশি করে খেতে হবে।
ডুমুর
ডুমুর খেতে খুবই সুস্বাদু। রান্না করতে অনেক ঝক্কি। কিন্তু এটা যে কোষ্ঠকাঠিন্য ম্যাজিকের মতো কাজ করতে পারে, তা কে জানতো। শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য ভাগাতে এর জুড়ি নেই।
আরও পড়ুন: বীরভূমে হইহই, দাপাচ্ছে যুদ্ধের ট্যাঙ্ক, তবে কারণটা বেশ মজাদার
ঘি আর মধু
ঘি আর মধুর কী গুনাগুন, সে কথা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু এটা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অত্যন্ত কাজের। এক থেকে ২ চামচ ঘি গরম দুধে ফেলে ঘুমানোর আগে খেয়ে নিতে হবে। তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি মিলবে।
লেবু জল
লেবুতে থাকে সাইট্রিক অ্য়াসিড। যা হজম শক্তি বাড়ায়। শরীর থেকে টক্সিন বা ক্ষতিকর পদার্থ দূর কর। বাড়ায় হজমের ক্ষমতাও।
আদা-চা
গরমাগরম আদা চা খেতে কার না পছন্দ। কিন্তু এটা যে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে, তা কি জানতেন? খুব সহজেই তা খাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ভেনিসে সমুদ্রের নীচে মিলল ২ হাজার বছরের প্রাচীন রাজপথ
কফি
কফি হাতে বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা মারতে কার না ভাল লাগে। কিন্তু এটা আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে পারে, সে কথাও জেনে রাখুন। কোলনকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
ডালিয়া
ডালিয়ে খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ বোধহয় খুঁজে পাওয়া যায় না। এতে ভিটামিন থাকে এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। এর মধ্যে প্রচুর ম্যাগনেসিয়ামও থাকে। খাবারের ম্যাগনেসিয়াম বেশি থাকলে হজমশক্তি ভাল হয়, এমনই বলা হয়ে থাকে।
তিল
এই জিনিসটিও বেশ কাজের। এর মধ্যে তৈলাক্ত জিনিস থাকে। যা অন্ত্রকে মসৃণ রাখতে সাহায্য় করে।
হেলদি ফ্যাট
যে সব খাবারে হেলদি ফ্য়াট রয়েছে, তা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা মেটাতে বেশ কার্যকর। বাদাম, অলিভ অয়েল, অ্য়াভোকাডো খাওয়া যেতে পারে। সেগুলোত থাকে হেলগি ফ্য়াট।