scorecardresearch
 

Curd And Honey Combination : দই-মধুতে হুড়মুড়িয়ে কমে ওজন, কীভাবে খাবেন?

কেউ চিনি মিশিয়ে দই খান, কেই আবার কেউ লবন ও গোলমরিচ দিয়েও খান। কিন্তু কেউ যদি দইয়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খান, তাহলে তিনি আরও বেশি উপকার পেতে পারেন। এর কারণ হল মধু পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে তাতে পুষ্টির পরিমাণ বেড়ে যায়।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • দইয়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়া খুবই উপকারী
  • দেহে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করে
  • হজম ক্ষমতা ভাল রাখে

Curd And Honey Combination : দই স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে। এর শীতল প্রভাব শুধু শরীরকে ঠান্ডা রাখতেই সাহায্য করে না, শরীরের অনেক উপকারও করে। দই খাওয়া পেটের জন্যও খুব ভাল বলে মনে করা হয়, কারণ এটি হজমের উন্নতিতে সাহায্য করে।

কেউ চিনি মিশিয়ে দই খান, কেই আবার কেউ লবন ও গোলমরিচ দিয়েও খান। কিন্তু কেউ যদি দইয়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খান, তাহলে তিনি আরও বেশি উপকার পেতে পারেন। এর কারণ হল মধু পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে তাতে পুষ্টির পরিমাণ বেড়ে যায়।

হার্ভার্ড হেলথের মতে, মধুতে থাকে ১৭ শতাংশ জল, ৩১ শতাংশ গ্লুকোজ এবং ৩৮ শতাংশ ফ্রুক্টোজ। এর পাশাপাশি এতে জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও বেশি পরিমানে থাকে। বলা হয় যে ১ চা চামচ মধুতে ৬৪ ক্যালোরি এবং ১৭.৩০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। 

চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথও দইয়ের অনেক উপকারিতা সম্পর্কে বলা হয়েছে। দই প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, প্রোবায়োটিক, মিনারেল, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খুব ভালো উৎস। মধুর সঙ্গে দই খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। যেমন:-

প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করে
সকলেই জানেন যে দই প্রোটিনের অন্যতম নিরামিষ উৎস। যাঁরা ব্যায়াম করেন তাঁদের ওয়ার্কআউটের আগে কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। দই প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং মধুতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে গ্লুকোজ (এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট)। তাই যাঁরা দইয়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খান, তাঁরা খুবই উপকার পান। এটি ওয়ার্কআউটের পরেও খাওয়া যেতে পারে।  

প্রোবায়োটিকের ভালো উৎস
মধু এবং দই উভয়ই প্রোবায়োটিকে সমৃদ্ধ, যা মূলত জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া এবং ইস্ট। এগুলো হজমে সাহায্য করে এবং পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। তাই গরমে সবাইকে দই খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। দই খাবারের সঙ্গে বা সকালের জলখাবারের সঙ্গেও খাওয়া যায়।

Advertisement

হাড় শক্ত করে 
দইতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়, তাই এই দুটি পুষ্টি উপাদান একসঙ্গে হাড়কে মজবুত করতে পারে। যাঁদের হাড়ের ব্যথা আছে, তাঁরা দই ও মধু খেলে উপকার পেতে পারেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় 
দই এবং মধুতে ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। নিশ্চয় মনে আছে যে করোনা মহামারীর সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। 

হজমক্ষমতা ঠিক রাখে
গ্রীষ্মের মৌসুমে অনেক সময় মানুষের হজমশক্তি ঠিক থাকে না, তাই মানুষ হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু গরমে যদি কেউ প্রতিদিন দই খান, তাহলে তাঁর পেট সংক্রান্ত সমস্যা হবে না এবং হজমও ঠিকঠাক হবে। তাই প্রতিদিন অন্তত ১ বাটি দই বা ১ গ্লাস লস্যি খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে লস্যিতে মধুও যোগ করতে পারেন।

রোগের হাত থেকে বাঁচায়
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দই ও মধু একসঙ্গে খেলে বেশকিছু রোগের ক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যায়। যেমন অস্টিওপোরোসিস, রক্ত ​​জমাট বাঁধা, ডায়রিয়া, স্থূলতা, বাত, হার্ট এবং রক্ত ​​সংক্রান্ত রোগ থেকে বাঁচায় এই ফুড কম্বিনেশন। 

আরও পড়ুনশঙ্খ ঘোষের আসল নাম জানেন? প্রথম প্রয়াণ বার্ষিকীতে কবির স্মৃতিচারণ


 

Advertisement