পুজোর সময় উত্তরবঙ্গ যাবেন বলে ভাবছেন। কিন্তু এখনও হয়তো পরিকল্পনা করে উঠতে পারেননি। ভাবছেন দার্জিলিং, শিলিগুড়ি বা অন্য পরিচিত জায়গাগুলো তো অনেকবারই গিয়েছি। আর কোথায় যাওয়া যায়। তাও আবার কম খরচে। এই প্রতিবেদনে এমন কিছু ঠিকানা বা জায়গার নাম আপনাদের জানাব যেগুলো সেই অর্থে ছুঁয়ে দেখেননি অনেকেই। খরচও বেশ কম। মাত্র হাজার দেড় থেকে ২ হাজার টাকা।
আর এই জায়গাগুলোর সব থেকে আকর্ষণীয় বিষয় হল, এই জায়গাগুলো হল উত্তরবঙ্গের গ্রাম। রয়েছে হোম স্টে। থাকতে হবে সেখানেই। সামনেই দেখতে পারেন কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়-ঝরনা। চা ঘেরা বাগান। যেখানে থাকবেন সেই হোম স্টে থেকেই আপনার থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। একেবারে ঘরোয়া রান্না-বান্না। সারাদিনে ৩ বার খাবার পাবেন।
টুকবার : দার্জিলিং ম্যাল থেকে মাত্র 8 কিমি দূরে একটা ছোট্ট গ্রাম টুকবার। এখানে রয়েছে একাধিক হোম স্টে। অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এখানকার আকর্ষণ।
আরও পড়ুন : DA বেড়ে গেল সরকারি কর্মীদের, হাতে চিঠিও পেয়ে গেলেন ?
লেপচাজগৎ : দার্জিলিং থেকে মাত্র ১৯ কিলোমিটার দূরে লেপচাজগৎ। এখান থেকেই যেতে পারেন মিরিক, ঘুম, মানেভঞ্জন, বাতাসিয়া লুপ বা জোরপোখরির মতো জায়গাগুলো।
বিজনবাড়ির ঝেপি : বিজনবাড়ির ঝেপি অন্যতম ডেস্টিনেশন। এখানে রয়েছে খরস্রোতা নদী। সেই নদীর ধারেই গড়ে উঠেছে ছোটো ছোটো হোম স্টে। পাহাড় ও নদী দুটোই দেখতে পাবেন এখানে।
ঋষিহাট : দার্জিলিংয়ের অন্যতম সেরা গন্তব্য ঋষিহাট।
আরও পড়ুন : West Bengal Tourist Spot : যাওয়া-খাওয়া খরচ মাত্র ৫০০ টাকা, পুজোর মাঝেই ঘুরে আসুন এই ৩ টুরিস্ট স্পট
টুকবার, লেপচাজগৎ, বিজনবাড়ির ঝেপি ও ঋষিহাট। এই চারটি গন্তব্যের দার্জিলিং থেকে দূরত্ব মাত্র কয়েক কিলোমিটার। এখানে যে হোমস্টেগুলো রয়েছে সেখানে থাকা ও খাওয়া খরচ হাজার থেকে ১২০০ টাকা।
এখন প্রশ্ন কীভাবে এত অল্প টাকায় ওই জায়গাগুলোতে থাকবেন? আসুন জানি। শিয়ালদা থেকে এনজেপি স্টেশন চেয়ারকারে ন্যূনতম ভাড়া ১৮০ টাকা। সেখান থেকে সরাসরি গাড়ি পাওয়া গেলেও, সস্তার শাটল গাড়ি বেছে নিন। তাতে করে অটোতে শিলিগুড়ি জংশন গাড়ি স্ট্য়ান্ডে চলে যান। খরচ হবে ২০ টাকা। সেখান থেকে ১৫০ টাকা জন প্রতি হিসেবে দার্জিলিং মোটর স্ট্যান্ডে নামুন। এখান থেকেই আপনি পৌঁছে যেতে পারেন গন্তব্যে। আবার এই জায়গাগুলোতে নাও থাকতে পারেন আপনি।
সেক্ষেত্রে ৫০০ টাকায় সস্তার হোটেল বুক করতে পারেন। তাহলে খরচ আরও কম হবে। তবে আপনি যদি শুধুই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান, দেখতে চান কাঞ্চনজঙ্ঘা-ঝরনা, চা বাগানের মনোরম পরিবেশ তাহলে উপরে উল্লেখিত গ্রামগুলিতে যেতে পারেন।