ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন অনেকেই। জীবনযাপনে পরিবর্তনই একমাত্র পারে আপনাকে এর থেকে মুক্তি দিতে। যখন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে, তখন তা ডায়াবেটিসের মাত্রায় পৌঁছায় না, তখন তাকে ‘প্রি-ডায়াবেটিস’ বলে। নিজের জীবনযাত্রা ও অভ্যাসের পরিবর্তন না করলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের দিকে তা চলে যেতে পারে। তখন এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। প্রি-ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তা নিয়ন্ত্রণের জন্য, আপনার ওজন ঠিক রাখা দরকার। প্রয়োজন ব্যায়ামেরও।
প্রি-ডায়াবেটিসের লক্ষণ:
ওজন কমাতে অসুবিধা, পেটের চর্বি বেড়ে যাওয়া, শক্তি কমে যাওয়া, শরীরে ব্যথা বা মাথাব্যথা, মহিলাদের হরমোনের পরিবর্তন
ইত্যাদি।
আরও পড়ুন : ২ মাসে ১৬৬টি ভূমিকম্প! কীসের ইঙ্গিত?
প্রি-ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ কীভাবে সম্ভব?
১) বেশি পরিমাণে জল পান করা - হাইড্রেটেড থাকা এবং প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া প্রাক-ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী। বেশি পরিমাণে জল পান করলে প্রি-ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। আর বেশি জল খেলে শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২) ব্ল্যাক কফি খান - অনেকেই ক্রিম ও চিনি যুক্ত কফি পছন্দ করেন। এমন অবস্থায় প্রি-ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্ল্যাক কফি খান। যার ফলে আপনি ক্রিম এবং চিনি থেকে দূরে থাকতে পারবেন। এই ছোটো পদক্ষেপ আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন : UGC NET-এর ফলাফল প্রকাশিত, এই লিঙ্কে ক্লিক করে দেখুন
৩) সোডা পান ত্যাগ করতে হবে - সোডা পান করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং ক্যালোরি রয়েছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে বা যারা প্রতিদিন সোডা পান করেন, তাঁদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ২৬ শতাংশ বেড়ে যায়।
৪) অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার - আপনার ডায়েট এবং ব্যায়ামের রুটিনে পরিবর্তন করার পাশাপাশি, রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে খাবারের পরে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। খাবারের পর আপেল সিডার ভিনেগার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না।