হৃদস্পন্দন থেমে গেল মৃত্যু! হৃদস্পন্দন বলে দেয় মানুষ বেঁচে আছে। তাই বেঁচে থাকার জন্য হার্টকে সুস্থ রাখা খুবই জরুরি। ডায়েট হার্টের স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারণ অল্প বয়সেই হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা বাড়াতে পারে। অল্প বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তরুণ-তরুণীদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে এখন। এই তো কদিন আগেই ভিআইপি রোডে মিনিবাসে হার্ট অ্য়াটাকে মৃত্যু হয়েছে ২৬ বছরের যুবকের। তাই হার্টের যত্ন নেওয়া জরুরি।
বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর কারণে শীর্ষে হৃদরোগ। তা ঠেকাতে পারে জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাস। এমন কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে যা অবলম্বন করলে হার্ট অ্যাটাক এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক হার্টের সুস্থতার জন্য কী ধরনের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রা থাকা উচিত-
শরীরকে সচল রাখা- হৃৎপিণ্ড একটি পেশী। আর যে কোনও পেশীকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হৃদপিন্ডের পেশী শক্তিশালী করতে শরীরকে সচল রাখুন। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া হেলথের ওয়েবসাইটে হার্টকে শক্তিশালী করার জন্য শরীরচর্চায় জোর দিতে বলা হয়েছে। শরীরকে সচল রাখলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়ানো যায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা- হার্টের সুস্থতার জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ। স্থূলতা হৃদরোগ ও রক্তসংবহন সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অতিরিক্ত ওজনের কারণে ধমনীতে চর্বিযুক্ত পদার্থ জমা হয়। ধমনীগুলি হৃৎপিণ্ডে রক্ত বহন করে। তা বন্ধ থাকলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ওজন কমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সুস্থ ডায়েট-স্বাস্থ্যকর খাবার খান। খাদ্যতালিকায় শাকসবজি, ফলমূল, মটরশুঁটি, গোটা শস্য এবং পরিমিত মাংস রাখুন। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃদরোগ প্রতিরোধ করে।
মানসিক চাপ- মানসিক চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়া। তাই মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন। মানসিক চাপ কমাতে যোগব্যায়াম, ধ্যান করুন নিয়মিত।
আরও পড়ুন- শরীরে এই ৯ সমস্যা থাকলে বাদাম হাসপাতালে পৌঁছতে পারে, সতর্ক হোন