scorecardresearch
 

Hill Stations In North Bengal : পয়লা বৈশাখে উইকএন্ড, নামমাত্র খরচে ঘুরে আসুন উত্তরের ৫ হিলস্টেশন

আগামী বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে ছুটির পর্ব। আর এই টানা ছুটিতে যদি ঘরে না বসে থেকে কোথাও বেড়িয়ে পড়ার প্ল্যান থাকে, বা এই গরমে বাংলার মধ্যেই কোথাও একটু ঠান্ডা হতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে আপনার জন্য এখানে রয়েছে বেশকিছু গন্তব্যের ঠিকানা। 

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • সামনেই রয়েছে টানা ছুটি
  • বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করতে পারেন
  • রইল কিছু পাহাড়ি এলাকার ঠিকানা

দিন অর্থাৎ ১৫ তারিখ, পয়লা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ। একইসঙ্গে ওইদিন রয়েছে গুড ফ্রাইডে। তারপরেই সপ্তাহান্তের ছুটির দিন, অর্থাৎ শনি ও রবিবার। এককথায় বলতে গেলে চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে ছুটির পর্ব। আর এই টানা ছুটিতে যদি ঘরে না বসে থেকে কোথাও বেড়িয়ে পড়ার প্ল্যান থাকে, বা এই গরমে বাংলার মধ্যেই কোথাও একটু ঠান্ডা হতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে আপনার জন্য এখানে রয়েছে বেশকিছু গন্তব্যের ঠিকানা। 

দার্জিলিং : বঙ্গবাসীর কাছে কম সময়ে হিল স্টেশন ঘোরার প্ল্যান মানে প্রথমেই যে নামটি মনে আসে, তা হল দার্জিলিং (Darjeeling)। দক্ষিণবঙ্গের এই কঠাফাটা গরম থেকে কয়েকটা দিন স্বস্তি পেতে অনায়াসেই বেছে নিতে পারেন দার্জিলিংকে। দার্জিলিং থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে চির নস্টালজিক। সঙ্গে যদি সাইট সিইং করার ইচ্ছা থাকে তাহলে সময় করে ঘুরে নিতে পারেন কার্শিয়াং-কালিম্পংও। আর সবচেয়ে বড় কথা আপনার বাজেটের মধ্যে হোটেলও পেয়ে যাবেন দার্জিলিঙে। 

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

লাভা-লোলেগাঁও-রিশপ-রিম্বিক : উত্তরবঙ্গের আরও এক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হল লাভা-লোলেগাঁও (Lava Lolegaon Rishop Tour Plan)। কালিম্পং থেকে লাভার দূরত্ব ৩৪ কিলোমিটার। এখানকার নিরিবিলি পরিবেশ ও পাইনের জঙ্গল আপনার মনকে চুরি করবেই। লাভা থেকে লোলেগাঁও যেতে সময় লাগে মোটামুটি ১ ঘণ্টা। সন্ধ্যা বেলায় লোলেগাঁও থেকে দূরের কালিম্পং শহরকে দেখলে মনে হবে ঠিক যেন পাহাড়ের কোলে কতগুলো প্রদীপ জ্বলছে। অন্যদিকে লাভা থেকে রিশপ-রিম্বিকের দূরত্বও খুব বেশি না। এই সবকটি জায়গাতেই রয়েছে বিভিন্ন মানের ও দামের হোটেল এবং রিসর্ট। বাজেট অনুযায়ী বুক করে নিলেই হল। 

ঝান্ডি ও কোলাখাম : কালিম্পং জেলার আরও দুই অপরূপ সুন্দর পর্যটনস্থল হল ঝান্ডি ও কোলাখাম। মূলত এই দুটিই হল পাহাড়ি গ্রাম। সবচেয়ে বড় কথা ঝান্ডি পৌঁছনোর রাস্তাটিই হল ছবির মতো সুন্দর। সে পথে একবার গেলে আপনার দুচোখ জুড়িয়ে যাবে। চারিদিকে রয়েছে সবুজ চা বাগান। তার মধ্যে দিয়ে চলে গিয়েছে রাস্ত। ঝান্ডিতে থাকার জন্য ইকো হাটও (Jhandi Eco Hut) রয়েছে। এখান থেকে গাড়ি করে ঘুরে নিতে পারবেন কোলাখামও। তবে অনেকে আবার লাভা-লোলেগাঁও-রিশপ-রিম্বক ট্যুরের সঙ্গেই কোলাখামটাও ঘুরে নেন।

Advertisement
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সান্দাকফু-ফালুট : পশ্চিমবঙ্গের উচ্চতম শৃঙ্গ সান্দাকফু। উচ্চতা ১১,৯৪১ ফুট। যাঁরা ট্রেকিং ভালবাসেন তাঁদের কাছে এই জায়গা বরাবরই পছন্দের (Sandakphu Phalut Trek)। তবে সাধারণ পর্যটকরাও সান্দাকফু যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে ভাড়া করে নিতে পারেন ল্যান্ড রোভার। দলে সদস্য সংখ্যা বেশি হলে ল্যান্ড রোভার ভাড়া করলে সুবিধা পাওয়া যায়। কারণ তাতে মোট ভাড়া নিজেদের মধ্যে ভাগ হওয়ায় খরচ কিছুটা কম হয়। পৃথিবীর ৫টি সর্বোচ্চ শৃঙ্গের ৪টি অর্থাৎ এভারেস্ট, কাঞ্চনজঙ্ঘা, লোৎসে ও মাকালু দেখা যায় সান্দাকফু থেকে। একইসঙ্গে সান্দাকফু থেকে ঘুরে দেখে নিতে পারেন ফালুটও। 

সুনতালেখোলা : যদি শহরের কোলাহল থেক কিছুটা নির্জনতা খোঁজেন, তাহলে বেছে নিতে পারেন উত্তরবঙ্গের (North Bengal) সুনতালেখোলাকেও। পাহাড়, নদী ও জঙ্গল, সবই পাবেন এখানে। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই জায়গা। নাম না জানা বহু পাখির কিচিরমিচির শুনতে শুনতে গরম কফির পেয়ালায় চুমুক দিতে মন্দ লাগবে না। তাই আর দেরি না করে সেরে ফেলতেই পারেন ট্র্যাভেল প্ল্যান।

আরও পড়ুনকিছু মানুষকে মশা বেশি কামড়ায়, কেন? রইল বাঁচার ৪ উপায়

 

Advertisement