HIV Prevention: ভারতে ১০ বছরে HIV আক্রান্ত কত? জানাল RTI, জানুন উপসর্গ-বাঁচার উপায়

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আঘাত করে এইচআইভি অর্থাৎ হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস ( (Human Immunodeficiency Virus)। সময়ে এইচআইভি-র চিকিৎসা না হলে এইডস অর্থাৎ অ্যাকিউরড ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম (Acquired immunodeficiency syndrome) হতে পারে।

Advertisement
ভারতে ১০ বছরে HIV আক্রান্ত কত? জানাল RTI, জানুন উপসর্গ-বাঁচার উপায়এইচআইভির উপসর্গ ও নিরাময়ের উপায়।
হাইলাইটস
  • গত ১০ বছরে ১৭ লক্ষ এইচআইভি আক্রান্ত ভারতে।
  • কমেছে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা।
  • এইচআইভি থেকে দূরে থাকবেন কীভাবে?

এইচআইভি নিয়ে মানুষকে সময়ে সময়ে সচেতন করা হয় ভারতে। সচেতনতার কারণে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যাও কমেছে অনেকটাই। তথ্যের অধিকার আইনে ন্যাশনাল এইডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (NACO) জানিয়েছে, গত ১০ বছরে ভারতে ১৭ লক্ষ মানুষ এইচআইভির শিকার হয়েছে। বেশিরভাগের পজিটিভ হওয়ার কারণ অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক। কিছু ​​সাধারণ ভুলের কারণেও HIV ছড়াতে পারে। এইচআইভি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে এবং ঝুঁকি কমাতে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। 

এইচআইভি কী (What is HIV) 

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আঘাত করে এইচআইভি অর্থাৎ হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস ( (Human Immunodeficiency Virus)। সময়ে এইচআইভি-র চিকিৎসা না হলে এইডস অর্থাৎ অ্যাকিউরড ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম (Acquired immunodeficiency syndrome) হতে পারে। বর্তমানে এইচআইভি সম্পূর্ণ নিরাময়ের কোনও চিকিৎসা নেই। একবার এইচআইভি-তে আক্রান্ত হলে সারাজীবন বয়ে বেরাতে হয়। কিন্তু সঠিক চিকিৎসা ও যত্নের মাধ্যমে এইচআইভি-র প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিরা সুচিকিৎসা পেলে সাধারণ ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে পারেন। রক্ত, স্পার্ম, মদন রস, যোনির তরল এবং স্তনের দুধের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এইচআইভি। 

এইচআইভি-র উপসর্গ

এইচআইভি আছে কিনা তা জানার একমাত্র উপায় এইচআইভি পরীক্ষা। এইচআইভি সংক্রামিত হলে ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। যে লক্ষণগুলি দেখা যায়- 

জ্বর
ঠান্ডা লাগা
রাতে ঘাম
পেশী ব্যথা
গলা ব্যাথা
ক্লান্তি
ব্রন

অনেক এইচআইভি সংক্রমিত কোনও উপসর্গ অনুভব করেন না। তবে এই উপসর্গগুলি দেখা দিলে এইআইভি হয়েছে এমনটাও নয়। 

এইচআইভি থেকে কীভাবে দূরে?


- শরীরিক সম্পর্কের সময় সুরক্ষিত থাকতে কন্ডোম ব্যবহার করুন। এতে এইচআইভি-র সম্ভাবনা একেবারে নগণ্য।    

- সঙ্গী বা সঙ্গিনীর অতীত সম্পর্ক ভাল করে জেনে নিন। তাঁর প্রাক্তন বা প্রাক্তনী এইচআইভি আক্রান্ত হলে আপনি সাবধান হবেন। বা সঙ্গী বা সঙ্গিনীর রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই শ্রেয়। 

-এইচআইভি এবং এসটিআই পরীক্ষা করিয়ে নিন। উপসর্গ দেখা না দিলেও মাঝে মধ্যে পরীক্ষা করাতে পারেন। 

Advertisement

- মাদক, মদ ইত্যাদি খেলে মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। মাদকাসক্ত অবস্থায় কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন। এতে হিতে বিপরীত হবে।      

- সূচের থেকেও ছড়ায় এইচআইভি। ডাক্তারের কাছে বা কোনও ওষুধের দোকানে ইঞ্জেকশন দেওয়ার আগে দেখে নিন সিরিঞ্জ নতুন কিনা। সমীক্ষা বলছে, ২০ থেকে ৪০ শতাংশ লোকের এইচআইভি ছড়ায় সূচ থেকে।  

আরও পড়ুন- এই রক্তের গ্রুপের ব্যক্তিদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি, কেন জানেন?

 

POST A COMMENT
Advertisement