মানুষের জীবনে ওষুধের (Medicines) ভূমিকা নিয়ে বেশি কিছু বলার দরকার নেই। আমরা সবাই কোনও না কোনও সমস্যার কারণে ওষুধ খায়। কিন্তু, যদি এই জীবনদায়ী ওষুধগুলি নকল (fake medicines) হয়, তবে এটি আপনার জন্য মারাত্মকও হতে পারে। সেজন্য শুধুমাত্র আসল ওষুধ খাওয়া উচিত। তবে একজন সাধারণ মানুষের জন্য এটা একটা বড় সমস্যা হতে পারে যে, আসল ও নকল ওষুধ কীভাবে চিনবেন? আজকে আমরা আপনাদের বলব আসল ও নকল ওষুধ চেনার কিছু দারুণ টিপস।
নকল ওষুধ জীবনের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে
কোনও সমস্যার জন্য নেওয়া ওষুধটি যদি নকল হয়, তাহলে তা আপনার সমস্যা কমানোর পরিবর্তে শুধু বাড়াবে না, বরং আপনার জীবনকেও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। আমেরিকার সুপরিচিত ফার্মা কোম্পানি ফাইজারের মতে, কিছু বিষয় মাথায় রেখে আসল ও নকল ওষুধ সহজেই শনাক্ত করা যায়।
আরও পড়ুন: Can Diabetic Patient Eat Mango: সুগার থাকলে কি আম খাওয়া যায়? জানুন এই ফল খাওয়ার সেরা সময় কখন
কীভাবে আসল ও নকল ওষুধ চিনবেন (How to identify real and fake medicines)
ওষুধের নামের বানান ভুল:
ওষুধের নামের বানান, প্রস্তুতকারক বা এটি তৈরিতে ব্যবহৃত উপাদানে ভুল থাকলে সহজেই ধরা যায় ওষুধটি নকল।
ওষুধের আকারের পরিবর্তন
আপনার কেনা কোনও ওষুধের আকৃতি, আকার, রং ইত্যাদিতে হঠাৎ কোনও পরিবর্তন দেখা দিলে সতর্ক হোন এবং অবিলম্বে আপনার ডাক্তার বা ফার্মেসিতে পরীক্ষা করে দেখুন আপনার ওষুধ সত্যিই আসল কি না।
ওষুধের গুণমান
যদি আপনার ওষুধে ফাটল থাকে, বুদবুদ তৈরি হয়, স্ট্রিপ আলগা থাকে, তাহলে এই জাতীয় ওষুধ থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। এই ধরনের ওষুধ নকল হতে পারে।
প্যাকেজিং ত্রুটি
ওষুধ প্যাক করার সময় অনেক যত্ন নেওয়া হয়। যদি আপনার ওষুধের প্যাকেটের সীল খোলা থাকে বা তাতে কারচুপি করা হয়ে থাকে বা দেখতে ঠিক না থাকে, তাহলে এই ধরনের ওষুধ সেবন করবেন না।
ওষুধ শনাক্ত করতে QR কোড আসছে
ভারত সরকার নকল ওষুধ শনাক্তকরণের জন্য এমন একটি ব্যবস্থা তৈরির জন্য কাজ করছে, যার মাধ্যমে আসল এবং নকল ওষুধগুলি সহজেই শনাক্ত করা যায়। এই ব্যবস্থার অধীনে, ওষুধের প্যাকেটে QR কোড বা বারকোড প্রিন্ট করা হবে, যা স্ক্যান করলেই জানা যাবে এটি আসল নাকি নকল।