কোনও পুরুষের বীর্যে শুক্রাণু তৈরি না হলে, সেই অবস্থাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলে। প্রায় এক শতাংশ পুরুষের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায়। অন্যদিকে পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রে এই সমস্যা প্রায় পনেরো শতাংশ পর্যন্ত থাকে। এটি সনাক্ত করার জন্য নির্দিষ্ট কোন লক্ষণ নেই (Azoospermia Symptoms)। যাঁরা এই সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা নিজেদের সঙ্গীনিকে গর্ভবতী করার চেষ্টা করেন, কিন্তু কোনও সাফল্য পান না। এই প্রতিবেদনে আমরা জেনে নেব যে, আদৌ এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় কিনা।
অ্যাজোস্পার্মিয়া লুকাবেন না
অ্যাজোস্পার্মিয়ার (Azoospermia) সমস্যা শুধুমাত্র পুরুষের বন্ধ্যাত্ব পর্যন্তই থেমে থাকে না, এটি অন্যান্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। অতএব, যদি কারও অ্যাজোস্পার্মিয়া থাকে, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা উচিত। অনেক পুরুষই লজ্জায় এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন না, বা এড়িয়ে যান। কিন্তু এক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা ও তাঁর পরামর্শ মতো চলাটাই সমস্যা সমাধানের প্রথম ধাপ। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী কারণে কম হয়ে যায় স্পার্ম কাউন্ট (Sperm Count)।
টেনশন করা (Tension)
সব বিষয়ে টেনশন নিয়ে ফেলেন? তাহলে এখনই সতর্ক হোন। কারণ মানসিক চাপ ও টেনশনের কারণে স্পার্ম কাউন্ট কমে যায়। তাই এই বিষয়টি প্রত্যেক পুরুষের মাথায় রাখা উচিত। আর শুধু তাই নয়, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপের কারণে শুক্রাণুর গুণমানও হ্রাস পায়। তাই সবসময় হাসিখুশি থাকুন এবং মানসিক চাপ দূরে রাখুন।
নিয়মিত শরীর চর্চা (Daily Exercise)
সুস্থ জীবনের জন্য নিয়মিত শরীর চর্চা খুবই প্রয়োজনীয়। যাঁরা ব্যায়াম করেন না তাঁরা স্থূলতার সমস্যায় ভুগতে পারেন। আর স্থূলতার কারণে, শুক্রাণুর গতিশীলতা কম হয়ে যায়, যা যৌনজীবনকে প্রভাবিত করে। তাই প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে।
দেরিতে ঘুমানো (Late Night Sleep)
আজকাল অনেকই গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। তার ফলে তাঁরা মানসিক চাপ ও স্থূলতার সমস্যায় ভোগেন। এই পরিস্থিতিতে স্পার্ম কাউন্ট নিয়ে সমস্যা হতে পারে। রাত জাগার কারণে যদি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে যায়। তাই দেরি করে ঘুমানোর অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।
আরও পড়ুন - পেট সাফ তো করেই-দ্রুত মেদও ঝরায় ডুমুর, কখন খাওয়া উচিত?