মাছ হোক বা মাংস সর্ষের তেলে সেটা রান্না করলে তার স্বাদ বেড়ে যায় বহুগুণ। বিশেষ করে মাছের একাধিক পদ রান্না করার সময় সর্ষের তেল অবশ্যই প্রয়োজন। তবে তাও সর্ষের তেল খাবেন নাকি সোয়াবিন অয়েল তা নিয়ে বিতর্ক কিন্তু রয়েছে প্রচুর। তবে এই দুরকম তেলের স্বাদ দুরকম। রান্নায় কোন তেল ব্যবহার করতে পারলে সবচেয়ে ভালো তা নির্ধারণ করা হয় স্মোকিং পয়েন্ট থেকে। সরষের তেল থেকে শুরু করে অলিভ অয়েল, রাইস ব্র্যান অয়েল- বাজারে রয়েছে হরেক রকম তেল। হার্ট ভালো রাখতে যেমন এই তেল উপকারী তেমনই হাড় ও ত্বকের গঠনেও তেলের ভূমিকা অনেকখানি।
সর্ষের তেলের ক্ষতিকর দিক
যে কোনও ভাজা, মশলা দিয়ে কষে রান্নার ক্ষেত্রে সরষের তেল ব্যবহার করা হয়। সরষের তেলের যেমন প্রচুর উপকারিতা রয়েছে তেমনই বেশ কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে ফুসফুসের সমস্যা সরষের তেল থেকে হতে পারে অনেক কিছুই।
আরও পড়ুন: দূরে থাকবে রোগ ভোগ, রান্না করেই ভাল রাখুন নিজের ব্রেন ও মন, বলছে রিসার্চ
ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়ে
পরপর বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে সরষের তেলে ৪২ থেকে ৪৭ শতাংশ ইউরিক অ্যাসিড থাকে। সেই সঙ্গে থাকে ওমেগা ৯ ফ্যাটি অ্যাসিড। আর এই ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের পক্ষে বিষ। যে কারণে বেশি পরিমাণ সরষের তেল খেলে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়ে।
আরও পড়ুন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, দৃষ্টিশক্তি প্রখর হবে এই পানীয় খেলে
হার্টের জন্য ক্ষতিকর
সরষের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ইরেটিক অ্যাসিড। যা হার্টের জন্য মোটেই ভালো নয়। বেশি সরষের তেল কিংবা ঝাল মশলাদার খাবার খেলে হতে পারে মায়োকার্ডিয়াল লিপিডোসিস। যা শরীরে বেশি পরিমাণ ট্রাইগ্লিসারাইড তৈরি করে হার্টের ক্ষতি করে। যেখান থেকে হার্ট ফেলের সম্ভাবনা থাকে প্রবল।
ফুসফুসে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে
ইরেটিক অ্যাসিড ফুসফুসের জন্যেও খুব ক্ষতিকর। বেশি পরিমাণ সরষের তেল খেলে প্রথমে ফুসফুসের উপরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই ক্ষতি না আটকালে ধীরে ধীরে ফুসফুস আরও ড্যামেজ হয়। যেখান থেকে ক্যানসার হতে পারে।
আরও পড়ুন: শরীরে ৩ জায়গায় ব্যথা নেই তো? ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ
ত্বকের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর
ত্বকের উপর সরষের তেলের বেশ কিছু ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। সরষের তেল এপিডার্মিসের ক্ষতি করে ত্বকের জলীয় অংশের পরিমাণ কমিয়ে দেয়য়। সেই সঙ্গে এপিডার্মাল কেরাটিনোসাঅটগুলির গঠনগত পরিবর্তনও ঘটে। যার ফলে ত্বকে ফোসকা পড়ে। যে কারণে বাচ্চাদের সরষের তেলে মালিশ এড়ানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
গর্ভাবস্থা সর্ষের তেল নয়
হবু মায়েদের এমনিই বেশি মশলাদার খাবার খেতে বারণ করা হয়। সেই সঙ্গে সরষের তেলও। কারণ এর মধ্যে থাকে বেশ কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক যৌগ। যা ভ্রূণের গঠনে বাধা দেয়। সেই সঙ্গে রাসায়নিক যৌগের প্রভাবে গর্ভপাতও হতে পারে।