বসন্তেই শুরু হয়ে গিয়েছে গরমের দাপট। গরমকাল আসলে কী হবে? যেভাবে তাপপ্রবাহ বাড়ছে এখন থেকে অনেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র কিনতে শুরু করেছেন। কিন্তু এসি-র তো একটা দাম আছে। তার উপরে বিদ্যুৎবিলের খরচও আছে। অনেকেরই সাধ্যে কুলোয় না। তা বলে কি ঘর ঠান্ডা রাখবেন না! সাধ আর সাধ্যের ভারসাম্যের উপায় আছে। কয়েকটি টোটকা অনুসরণ করলেই এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা থাকবে।
একবাটি বরফ- একবাটি বরফ হতে পারে আপনার ঠান্ডা ঘরের চাবিকাঠি। টেবলফ্যান চালিয়ে সামনে পাত্রে রেখে দিন একবাটি বরফ। ফ্যান চালিয়ে দিলেই দেখবেন কয়েক মিনিটেই ঘর ঠান্ডা। বরফ হলে গেলেও ঘরের ঠান্ডা অনেকক্ষণ থাকবে। এসি ছাড়াই দেখবেন ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল।
জানালা খোলা- গরমকালে রোদ আটকাতে বদ্ধ ঘরে থাকবেন না। বরং জানালা খুলে দিন। আর ঘরে যদি দু'দিকে জানালা থাকে তো কেয়া বাত! সব জানালা খুলে দিলে দেখবেন বাতাস চলাচল করছে। আর ঠান্ডা থাকছে ঘর।
আলো অফ- আলো অফ করে রাখুন। সকাল-বিকেলে আলো জ্বালানোর প্রয়োজন নেই। রাতেও খানিকক্ষণ অন্ধকারে থাকতে পারেন। আলো জ্বালালে ঘরের হাওয়া গরম হয়ে ওঠে।
ঘর ফাঁকা- ঘর যতটা সম্ভব খোলামেলা ও ফাঁকা রাখার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত জিনিসপত্র বাইরে বের করে দিন। আসবাবও কম রাখুন। রাখলেও বাতাস চলাচলে বাধা হয় এমন আসবাব ঘরে বোঝাই করবেন না।
ঘরে গাছপালা- জানালার সামনে রাখুন গাছপালা। নিয়মিত জল দিন। এতে ঘর অনেকটা ঠান্ডা থাকে।
চালের পুঁটলি - একটা ছোট্ট কাপড়ের মধ্যে অনেকটা চাল রাখুন। সেই পুঁটলি ফ্রিজে ঠান্ডা করুন। তার পর বাইরে বের করে রেখে দিন। এতে ঘর অনেকক্ষণ ঠান্ডা থাকে।
পর্দা- গরমে ঘরে এমন পর্দা দিন যাতে হাওয়া চলাতলে বাধা না হয়। খসখসও ব্যবহার করতে পারেন। অথবা ভিজে কাপড় জানালায় ঠাঙিয়ে রাখুন। ভিজে কাপড় জানালায় ঠাঙালে বায়ু তা ভেদ করে আসে। এতে ঘরের বাতাস ঠান্ডা হয়। দরকারে ঠান্ডা জলে চুবিয়ে ভিজে কাপড় পর্দা হিসেবে ব্যবহার করুন।
বোতলের এয়ারকুলার- বিদ্যুৎ ছাড়াই এয়ারকুলার বানিয়ে ফেলুন। কয়েকটি প্লাস্টিকের বোতল জোগাড় করুন। বোতলগুলি মাঝ বরাবর কেটে শক্ত কার্ডবোর্ডে গেঁথে দিন। এমনভাবে বোতলগুলি ঝুলিয়ে দিন যাতে বড় অংশটি বাইরে থাকে। ছোট অংশ ভিতরে। সেই বোর্ড ঝুলিয়ে দিন জানালায়। বাতাস বড় অংশ থেকে ঢুকে ছোট জায়গা দিয়ে বেরিয়ে যাবে। এতে দেখা গিয়েছে ঘরের উষ্ণতা অনেকটা কমে যায়।
আরও পড়ুন- জলখাবারে রাখুন এই ৭ খাবার, যৌবন থাকবে আজীবন, ত্বক টানটান